শিশুরা মাঝে মধ্যে হঠাৎ করে লক্ষ্মীপেঁচার ছানা হাতে পেয়ে তাদের সঙ্গে খেলা জুড়ে দেয়। এর ফলে আরো হুমকির মুখে পড়ে পেঁচকছানাদের সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা।
তবে তাদের নিজস্ব আবাসন ধ্বংসের কারণে তারা বর্তমানে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তার স্ট্যাটাস গিয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্লভ আবাসিক পাখি হিসেবে। এর ইংরেজি নাম Barn Owl এবং বৈজ্ঞানিক নাম Tyto alba।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলেন, লক্ষ্মীপেঁচা মাঝারি আকারের পাখি। অনেকটা আমাদের গৃহপালিত কবুতরের মতো। এর মুখমণ্ডল গোলাকৃতির। অনেকটা আমাদের হৃদযন্ত্রের মতো। বড় বড় চোখের ফ্যাকাসে সোনালি রঙের পাখি।
তিনি আরো বলেন, এরা সচরাচর একা, জোড়ায় বা পারিবারিক দলে থাকে। রাতের নির্জনতায় নিচু অবস্থানে শিকারের আশায় বসে থাকে। মাঝে মধ্যে উড়ে গিয়ে শিকার ধরে। এর খাদ্যতালিকায় রয়েছে ইঁদুর, মুষিক, খুদে-বাদুড়, ছোটপাখি প্রভৃতি।
খাবার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, লক্ষ্মীপেঁচা শিকার করা খাবার পুরো গিলে ফেলে। পালক, লোম ও দাঁত প্রভৃতি যা হজম করতে পারে না তা তার ধারালো ঠোঁট দিয়ে উপড়ে ফেলে দেয়।
ছেলে ও মেয়ে পাখির চেহারা অভিন্ন। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় লক্ষ্মীপেঁচার বৈশ্বিক অবস্থান রয়েছে বলে জানান পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
বিবিবি/এএ