বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ফিনলে টি-এর দারাগাঁও চা বাগানের ফাঁড়ি বাগান হাতিমারা চা বাগানে গত শনিবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতে স্থানীয় শিকারিরা বন্ধুক সহযোগে বনে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে ওই শিকারি দল দু’টি বন্যশূকরের ওপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে একটি বন্যশূকর দূরে গিয়ে মারা যায়।
হাতিমারা চা বাগান এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের অবৈধ শিকারিদের নাম ও ঠিকানা পাওয়া গেছে। এরা কালেঙ্গা রেঞ্জে নিয়মিত শিকার করে থাকে। শিকারিরা হলেন- ১) সাইকেল ওরাং (৩৫), পিতা- বাওনা ওরাং, গ্রাম- ১০ নং লাইন, হাতিমারা চা বাগান। ২) ধনঞ্জয় চৌহান (৪৫), পিতা- ধনীরাম চৌহান, গ্রাম- সুতাফারা, হাতিমারা চা বাগান এবং সোহেল মল্লিক (৩৫), পিতা- বরুন মন্ডল, বরইটিলা, হাতিমারা চা বাগান।
এরা অর্থাৎ চা শ্রমিকরা মূলত তীর-ধনুক, বল্লম প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিকার করে থাকে। বন্যশূকরকে স্থানীয় ভাষায় ‘পাইমাল’ বলা হয়।
হাতিমারা চা বাগান সংলগ্ন খাসি নৃগোষ্ঠীদের বসবাস বৈরাগীপুঞ্জি। এই পুঞ্জির নিয়মিত বন্যপ্রাণী শিকারিরা হলেন- ১) পুঞ্জিপ্রধান আলবার্ট (৫৫), ২) ক্যানন (৩০), পিতা- আলবার্ট এবং ৩) সুখ খাসিয়া (৪৫)। আলবার্টের দু-নলা বন্ধুক থাকায় তার ছেলে ক্যানন ওই এলাকায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বন্যশূকর, হরিণসহ নানান বন্যপ্রাণী শিকার করে থাকে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু মুসা সামসুল মুহিত চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এই নামগুলো পেয়ে আমাদের খুবই উপকার হয়েছে। আমি এখনই এ নামগুলো আমাদের সংশ্লিষ্ট বনবিভাগে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাদের ওপর আমাদের নজর জোরদার করা হবে।
এ সংক্রান্ত পূর্ববর্তী নিউজ
অবাধে বন্যপ্রাণী শিকার চলছে কালেঙ্গা রেঞ্জে
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
বিবিবি/এমজেএফ