ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

প্রজাপতির রঙিন ডানায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৮
প্রজাপতির রঙিন ডানায় মেলায় প্রজাপতি দেখছেন দর্শনার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: রঙে আর বৈচিত্রে প্রজাপতির তুলনা প্রজাপতি নিজেই। প্রকৃতিতে এর চেয়ে সুন্দর আর কি হতে পারে? সাধারণত প্রজাপতিকে পরিবর্তন, আনন্দ, ভালোবাসা এবং রূপান্তরের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রজাপতির প্রতিটি পাখা যেন একেকটি জীবন্ত ছবি। যে ছবি দেখে কবি সাহিত্যিকরা খুঁজে পান সাহিত্যের ভাষা।

প্রজাপতি নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনারও শেষ নেই। প্রজাপতি নিয়ে রচিত হয়েছে হাজারো কবিতা, গান।

প্রজাপতির কথা উঠলেই মনে পড়ে যায় ছোটবেলায় পেছন পেছন ছোটাছুটির কথা। কিন্তু বর্তমানে ইট-পাথরের এ শহরে প্রজাপতির দেখা পাওয়া যেন হ্যালির ধূমকেতু দেখতে পাওয়ার মতোই দুর্লভ।

তবে এ দুর্লভ প্রজাপতিকে দেখা ও তার সঙ্গে কিছু সময় পার করার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ প্রতিবছরের মতো এবারও আয়োজন করেছে প্রজাপতি মেলা।

শুক্রবার (২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।

উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রজাপতি এমন একটি প্রাণী যা দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। ছোটবেলায় আমরা প্রজাপতির পেছনে ছুটতাম ভালো লাগার কারণে।

প্রজাপতির সঙ্গে প্রকৃতির কি সম্পর্ক, পরাগায়নে প্রজাপতি কি সাহায্য করে তা আমরা এ মেলার মাধ্যমে জানতে পারছি। যা আগে জানতাম না। এ মেলার কারণে প্রজাপতি ও প্রজাপতির উপকার সম্পর্কে জানার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে মানুষের মধ্যে।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নুরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার প্রমুখ।

মেলায় ‘ইয়াং বাটারফ্লাই ইনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যায়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদা সরকার বর্ষাকে।

এছাড়া প্রজাপতি গবেষণায় সার্বিক অবদানের জন্য ‘জীবন বিকাশ কার্যক্রম’কে ‘বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’ দেওয়া হয়।

মেলায় দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে রয়েছে- প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা (শিশু-কিশোরদের জন্য), প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, হাট দর্শন (জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন), অরিগামি প্রজাপতি, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, বারোয়ারী বিতর্ক (প্রজাপতি ও জলবায়ু পরিবর্তন), প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান।

মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে ধারাবাহিকভাবে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এ মেলার মাধ্যমে একদিকে যেমন মানুষের মধ্যে প্রজাপতি সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তেমনি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষরা প্রকৃতির সঙ্গে একটি দিন কাটানো সুযোগ পাচ্ছে। যা তাদের কর্মজীবনের একঘেয়েমি কাটাতে সাহায্য করছে।

সকাল থেকে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে প্রজাপতি প্রেমীদের মেলায় আসতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।