বাড়ির পরিত্যক্ত অংশ বা অব্যবহৃত কোণে ধীরে ধীরে গজিয়ে ওঠা অসংখ্য ছোটখাটো লতাগুল্মগুলোকে আমরা না চিনে ‘আগাছা’ বা বাজে উদ্ভিদ বলে কেটেকুটে উজাড় করে ফেলি।
তেমনি একটি ভেষজগুল্ম এর নাম ‘কন্টিকারি’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর এবং উদ্ভিদ গবেষক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, এ ফুলের বাংলা নাম ‘কন্টিকারি’। ইংরেজি নাম Sticky Nightshade flower এবং বৈজ্ঞানিক নাম Solanum sisymbriifolium । কন্টালিকা, কন্টকিনী, কণ্টকারী, ধাবনী, ক্ষুদ্রা, দুস্প্রধার্ষিনী প্রভৃতি নামে ডাকা হয় তাকে। তবে কন্টিকারী নামটি বহুল পরিচিত।
তিনি আরো বলেন, এটি মূলত সাউথ আমেরিকান প্লান্ট। এটা রাস্তার ধারের পতিত জায়গায় বেশি হয়। এখন মোটামুটি সারা পৃথিবীতে এর বিস্তৃতি রয়েছে। এটি এক মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। পাতাগুলো ছেড়া এবং ৪/৫ খণ্ডে বিভক্ত।
কন্টিকারি এর বৈশিষ্ট্য হিসেবে তিনি আরে বলেন, ফুলটা সাদা থেকে বেগুনি। ফুলের পাপড়ি ৫টা। পুংকেশরগুলো লম্বা এবং হলুদ রঙের হয়। এর ফলটা খাওয়ার যোগ্য। তবে মানুষ কম খায়। এটা বন্যপ্রাণীদের খাবার। এর ফলটি জন্মনিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।
এ গুল্মের মূল বা শেকড় উপকারী এবং ভেষজগুণসম্পন্ন থাকায় কবিরাজরা এটিকে বিভিন্ন কাজে লাগায়। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষেরা এটিকে বিষাক্ত আগাছা মনে করে থাকি। অথচ এটি উপকারী বলে জানান উদ্ভিদ গবেষক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৮
বিবিবি/এসএইচ