শুক্রবার (০২ নভেম্বর) রাতে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ইয়াভাতমাল জঙ্গলের ভেতরে দেশটির বন বিভাগের নির্দেশে মানুষখেকো ওই বাঘিনীকে গুলি করে মারা হয় বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়। তবে অবনীর দুই শাবক বেঁচে আছে।
জানা গেছে, ভারতীয় সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ ছিল, অবনীকে ঘুম পাড়িয়ে ধরার চেষ্টা করতে হবে। আর যদি এটার মাধ্যমে ধরতে ব্যর্থ হয়, তাহলে গুলি করে মারা হবে। যদিও ঘুম পাড়িয়ে ধরার চেষ্টা না করেই গুলি করে মারা হলো বাঘিনীটিকে। এজন্য দেশটির বনবিভাগকে আদালত অবমাননার অভিযোগও দেওয়া হচ্ছে।
প্রায় তিন মাস ধরে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সঙ্গে নিয়ে ১৫০ জন বন কর্মী, হাতি এবং শ্যুটার অবনীকে ধরার জন্য খোঁজে বেড়াচ্ছিল।
টিপেশ্বর ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যের আশেপাশে ফরেস্ট অফিসারদের একটি দলসহ ট্র্যাপ ক্যামেরা, ড্রোন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নিফার কুকুরের দল এবং হ্যাং-গ্লাইডারের সহায়তায় ওই বাঘিনীর খোঁজ করা হচ্ছিল। এমনকি বন বিভাগ বিতর্কিত প্রাইভেট মার্কসম্যান শাফাত আলী খানকেও এই কাজে নিয়োগ করেছিল।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শ্যুটারের গুলিতে মৃত্যু হয় ওই বাঘিনীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
টিএ