বসে থাকার স্থান থেকে হঠাৎ ডানা মেলে দিয়েছে আকাশের পানে, বিশ্বস্ত লম্বা ঠোঁটে উড়ন্ত পতঙ্গ ধরে আবার পরক্ষণেই যথাস্থানে ফিরে আসা। তাদের এই শিকারপ্রক্রিয়া জন্মসূত্রে অর্জিত।
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি ‘সবুজ সুইচোরা’। অপরূপ সুন্দর দেহ। সবুজ রঙে জুড়িয়ে যায় চোখ। এর ইংরেজি নাম Green Bee-eater এবং বৈজ্ঞানিক নাম Merops orientalis। এরা Meropldae পরিবারভুক্ত পাখি। তবে এই পাখিটির আরো একটি বাংলা নাম হলো ‘বাঁশপতি’। জাহাঙ্গীনরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণী গবেষক ড. মনিরুল খান বাংলানিউজকে বলেন, এই ‘গ্রিন বি-ইটার’ পাখিটি শুধুমাত্র পোকামাকড়ই খায়। তবে এ প্রজাতির অন্যপাখিগুলো অবশ্য ফুলের মধুসহ অন্যকিছুও খায়। এদের খাদ্যতালিকায় রয়েছে মৌমাছি, মথ, পড়িং প্রভৃতি।
তিনি আরো বলেন, এই প্রজাতির পাখিগুলো দলগতভাবে বসবাস করে। দেখা যায় বিভিন্ন গাছপালা, আবাদি জমি, বৈদ্যুতিক তার, চারণভূমি প্রভৃতি স্থানে সচরাচর ছোট দলে থাকে। এদের খাদ্যতালিকায় রয়েছে মৌমাছি, মথ পোকা, ফড়িং প্রভৃতি।
এই পাখির আকার-আকৃতি প্রসঙ্গে এ গবেষক বলেন, এর দৈর্ঘ্য ২১ সেন্টিমিটার এবং ওজন ১৫ গ্রাম। পুরো দেহই সবুজ, তবে ঘাড়ের নিচের অংশ সোনালি বা কালচে। গলায় রঙের আধিক্য ফিকে নীল। সরু লম্বা লেজ রয়েছে। এরা দ্রুত ডানা ঝাপটায় এবং মুক্ত আকাশে সুন্দরভাবে উড়াউড়ি করতে দেখা যায়।
প্রাকৃতিক পরিবেশের নানামুখী দূষণ, কীটনাকশ ব্যবহারসহ বনের গুণগত অবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে বলেই বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ-পোকামাকড় আগের থেকে অনেক কমে গেছে। আর পোকা-মাকড়ের উপর নির্ভরশীল পাখিগুলো হুমকি মুখে পড়ছে বলে জানান বন্যপ্রাণী গবেষক ড. মনিরুল খান।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৮
বিবিবি/এএটি