তাদের নিরামিষ খাবারের মধ্য রয়েছে- শস্যদানা বা ফুলমূল কিংবা ক্ষেতে চাষ করা নানা প্রকারের শাক-সবজি। কৃষকের স্বপ্নের ফসল বিনষ্ট করতে অত্যন্ত পটু এ প্রজাতির ইঁদুরগুলো।
কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার এবং ভয় কিংবা অসচেতনতা থেকে নির্বিচারে হত্যার ফলে ‘প্রকৃতির সরীসৃপ বন্ধু’ নানা প্রজাতির সাপদের জীবন আজ মারাত্মক হুমকির মুখে। সেই সাপের ‘প্রিয়খাদ্য’ ইঁদুর।
জলাভূমি বা ফসলি জমির ধারে সাপ টিকে থাকার সুযোগ পেলে ইঁদুরাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) এর লাল-তালিকা অনুযায়ী এ প্রজাতিটি ‘ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত’ প্রাণী। ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (নিরাপত্তা ও সংরক্ষণ) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, একে বাংলায় ‘বড় ইঁদুর’ বলে। দৈর্ঘ্যে এরা অনেকটা বিড়াল আকৃতির। এটি উপমহাদেশের বড়চেয়ে বড় আকারের ইঁদুর। এর ইংরেজি নাম Greater Bandicote Rat এবং বৈজ্ঞানিক নাম Bandicota indica।
এদের খাবার সম্পর্কে তিনি বলেন, এরা দেশের জলাভূমির আশেপাশে এরা বেশি থাকে। মরে গিয়ে পানিতে ভেসে উঠা মাছ খেয়ে পছন্দ করে। এছাড়া কাঁকড়া, ব্যাঙ, পোকামাকড়সহ নানা প্রকারের শস্যদানা খেয়ে থাকে এরা।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান প্রভৃতি দেশে এদের বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে। এরা জনবসতির অদূরবর্তী স্থানের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে বলেও জানান প্রফেসর ড. কামরুল হাসান।
বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী আবু বকর সিদ্দীক বাংলানিউজকে বলেন, সম্প্রতি আমরা বিশাল আকারের ইঁদুরটি দেখেছি। জলাভূমি ধার থেকে খাবার খাচ্ছিলো। তাকে দেখে এর দৈর্ঘ্য সঠিকভাবে মাপা সম্ভব নয়; তবে এগুলো প্রায় ১০ থেকে ১২ ইঞ্চির মতো লম্বা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
বিবিবি/এমএ