রোগাক্রান্ত এসব গাছগুলো তখন প্রাণে বেঁচে উঠতে চায় বারবার। নতুন করে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ ছড়াতে চায় চা প্রেমীদের জন্য।
অভিজ্ঞ টি-প্লান্টার এবং বারোমাসিয়া চা বাগানের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক হক ইবাদুল বাংলানিউজকে বলেন, এ চাগাছ দু’টো রোগাক্রান্ত। প্রথম রোগটি নাম হলো: টি-টারমাইড (Tea-Termite)। বাংলায় বলে চায়ের উঁইপোকা। অর্থাৎ চা গাছে উঁইপোকা আক্রমণ ঘটেছে। আর দ্বিতীয় রোগটি হলো- ফাঙ্গাস ডিজিজেস (fungus disease) অর্থাৎ ছত্রাকজনিত রোগ। ইংরেজিতে এ ছত্রাকজনিত রোগকে বলা হয় Poria root disease এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Poria hypola teritia।
তিনি আরও বলেন, এ ‘পুরিয়া’ ছত্রাকের কারণে শিকড় থেকে এ রোগের সৃষ্টি হয়ে আস্তে আস্তে উপরে উঠে আসে। এ রোগের দমনপ্রক্রিয়া হলো- মাটিতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। তবে সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো- ছত্রাকে আক্রান্ত চা গাছগুলো মাটি থেকে তুলে ফেলা।
টি-টারমাইড রোগ সম্পর্কে অভিজ্ঞ টি-প্লান্টার বলেন, এ রোগ থেকে বাগানের চা গাছগুলো বাঁচানোর অন্যতমপন্থা হলো মাটি খুঁড়ে উইপোকার রানীকে খুঁজে বের করে মেরে ফেলা। উইপোকার রানী মাটি ৩/৪ ফুট গর্তের নিচে থাকে। এ রানীই লাখ লাখ বাচ্চা তৈরি করতে সক্ষম।
‘আমরা আমাদের চা বাগানগুলোকে টি-টাইমাইড রোগের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য উঁইপোকার রানীকে মেরে ফেলি। পুরুষ উঁইপোকাগুলো সহজে মারা যায়। কিন্তু রানী বেঁচে থাকে অনেকদিন। রানীকে মেরে ফেললেই ওই এলাকার সব উঁইপোকা মারা যাবে এবং নতুন করে জন্মানোর সুযোগ পাবে না। ’
সিলেট অঞ্চলের চা বাগানগুলোর গাছে এখন ‘পুরিয়া’ ছত্রাকের আক্রমণ ভয়াবহ। এর ফলে ব্যাপকহারে চা গাছ মারা যাচ্ছে বলে জানান অভিজ্ঞ টি-প্লান্টার হক ইবাদুল।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
বিবিবি/ওএইচ/