সোমবার (২৬ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উদ্ধার হওয়া সাপটি লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের গাড়িভাঙ্গা এলাকায় অবমুক্ত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের রেঞ্জকর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে পরিচালক সজল দেব এবং বন্যপ্রাণী রেঞ্জের সদস্যরা।
জানা যায়, দুপুরে হবিগঞ্জের হাতিমারা চা বাগান থেকে পাচারকারীরা সাপটি ২০ হাজার টাকায় সংগ্রহ করে। খবর পেয়ে প্রকৃতিপ্রেমী রবি কস্তা, স্বপন চাষা, বলরাম রবিদাস, খোকন দাস, বিকাশ রবিদাসসহ কয়েকজন তরুণ বিপন্ন সাপটি উদ্ধারে এগিয়ে যায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে পাচারকারীরা বস্তাবন্দি ব্যাগটি ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে ওই তরুণেরা বিষয়টি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু মুসা শামসুল মুহিতকে জানালে সন্ধ্যায় সাপটি মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে রাত ৮টার দিকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের গাড়িভাঙ্গা এলাকায় সাপটি অবমুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু মুসা শামসুল মুহিত বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বন বিভাগের লোকবল কম। তরুণেরা এভাবে এগিয়ে এলে জীব-বৈচিত্র্যকে উদ্ধার ও সংরক্ষণ করা সহজ হবে।
বন্যপ্রাণী গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এই শঙ্খিনী সাপের ইংরেজি নাম Banded Kraid এবং বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus fasciatus। এরা দৈর্ঘ্যে ১৫০ থেকে প্রায় ২২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এটি বিষযুক্ত সাপ। এদের প্রধান খাবার সাপ।
এক ধরণের সংঘবদ্ধচক্র রয়েছে যারা এসব বিষাক্ত সাপ অবৈধভাবে সংগ্রহ করে বিষের জন্য। ঢাকার সাভারে সাপের একটি বিশাল মার্কেট রয়েছে। যেখানে সাপের ‘বিষ’ উচ্চমূল্যে ওষুধ কোম্পানির কাছে বিক্রি হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
বিবিবি/এনটি