আরো মজার ব্যাপার- গাছের ডাল থেকে উড়ে যেয়ে পোকামাকড় শিকার করে এবং শিকার শেষে আগের জায়গায় অর্থাৎ যেখানে সে বসা ছিল সেখানে ফিরে আসে। এভাবেই সে যায় এবং ফিরে আসে।
মাত্র ৮ গ্রাম ওজনের এ পাখির নাম ‘মেটেমাথা-ক্যানারিচুটকি’। এরা আকারে চড়ুইয়ের মতো। দৈর্ঘ্য প্রায় তেরো সেন্টিমিটার। পাখিটির বাংলা নাম- ‘ঝাড়-ফুটকি’। ইংরেজি নাম Grey-headed Canary-flycatcher এবং বৈজ্ঞানিক নাম Culicicapa ceylonensis।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণী গবেষক ড. কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, পাখিটি পতঙ্গভুক পাখি। এরা বিভিন্ন ধরনের পোকামকড় খেয়ে থাকে। এরা বনজঙ্গলের ঝোপঝাড়ে থাকে এবং ওখানকার নানা ধরনের পতঙ্গগুলো খায়। এছাড়াও যেসব পতঙ্গ আকাশে উড়ে বেড়ায় সেগুলোও তারা ধরে ধরে খায়।
তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে কোনো কোনো ছোপঝাড়ে বড় বা মাঝারি পাখিরা প্রবেশ করবে না এবং প্রবেশ করতেও পারবে না। যেমন- কাঠঠোকরা পাখি বা ফিঙে পাখির কথা ধরা যেতে পারে। কিন্তু এই চুটকি প্রজাতির পতঙ্গভুক ছোট পাখিরা ঝোপঝাড়ের ফাঁকফোকর দিয়ে অনায়াশে প্রবেশ করতে পারে এবং ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে পরিবেশের উপকার সাধন করে। শীতের আমাদের দেশের সব বনেই তাদের দেখা যায়।
ছেলে এবং মেয়ে পাখির চেহারা অভিন্ন। প্রাপ্ত বয়স্ক পাখির মাথার চারদিক কালচে। মাথা ও ঘাড় ছাই-ধূসর। দেহের পিছনের অংশ হলদে-সবুজ। কোমর ও লেজ হলদে। বুক ধূসর। চোখ ও ঠোঁট বাদামি বলে জানান ড. কামরুল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
বিবিবি/এমজেএফ