বুধবার (১৭ জুন) তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ৬০) মাত্র দশমিক আট মিটার (৫২ দশমিক ৫২) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও যেন কোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারীর ডালিয়ার দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজ তিস্তা অববাহিকার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ মিলিমিটার।
গত দুইদিনের ১০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তা অববাহিকার চরগ্রাম ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে বিকেলে খবর পাওয়া গেছে।
তিস্তা ব্যারাজের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখায় ঢলের পানি ভাটি অঞ্চলে প্রবাহিত হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, ভারী বৃষ্টি ও তিস্তার উজানের ঢলে জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের টেপুর চরের এক হাজার পরিবার জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সেসঙ্গে চরের জমিতে থাকা বাদাম ক্ষেতের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ কেন্দ্রের গ্রেডরিডার নুরুল ইসলাম জানান, তিস্তার পানি সকাল থেকে বিপৎসীমার দশমিক আট মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত দু’দিন ধরে ১০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পাশাপাশি উজানের ঢলও নামতে শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে এবার ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তায় আগাম বন্যার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
এএটি