শুক্রবার (২৬ জুন) দুপুরে ওই বাড়ি থেকে গোখরাগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয়রা সাপের ভয়ে বড় গোখরাসহ শতাধিক বাচ্চাগুলো মেরে ফেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার দুপুরে আব্দুল মান্নান তার শোবার ঘরের মেঝেতে একটি গর্ত দেখতে পান। কিছুক্ষণ পর তিনি ওই গর্তের আশপাশে কয়েকটি সাপের বাচ্চাকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। তখন তিনি বাড়ির অন্যান্য সদস্য ও প্রতিবেশীদের সাহায্যের জন্য ডাকেন। প্রতিবেশীরা লাঠিসোটা ও কোদাল নিয়ে এসে ঘরের মেঝের ওই গর্ত খনন শুরু করেন। এ সময় ওই গর্ত থেকে শতাধিক গোখরা সাপের বাচ্চা ও দুটি বড় গোখরা সাপ বের হয়ে আসে। সাপগুলো পালানোর চেষ্টা করলে উৎসুক জনতা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সেগুলো মেরে ফেলেন। পরে ওই গর্ত থেকে অর্ধশতাধিক ডিম উদ্ধার করা হয়।
এসব সাপ ও ডিম নষ্ট করে বাড়ির পাশে গর্ত করে পুঁতে ফেলা হয়। এরপর এলাকাবাসী আশপাশের এলাকায়ও সাপ আছে কিনা অনুসন্ধান করছে।
রাঙ্গালিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুল মান্নানের বাড়ির পরিবারের সদস্যদের সৌভাগ্য যে কাউকে সাপ দংশন করেনি। গোখরা সাপের বাচ্চাগুলো বড় হলে ওই বাড়ির মানুষসহ এলাকার মানুষের জন্য কত বড় বিপদ হতো। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় সাপগুলো মারা সম্ভব হয়েছে। এখন কিছুটা হলেও এলাকাবাসী বিপদমুক্ত বলা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
আরএ