রোববার (২৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে অন্যান্য নদ-নদীর পানিও।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার চিলমারী, উলিপুর, কুড়িগ্রাম সদর, রৌমারী, রাজিবপুর ও নাগেশ্বরীসহ আটটি উপজলায় নদ-নদী অববাহিকার প্রায় আড়াই শতাধিক চর ও দ্বীপচর প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় নিচু এলাকার মানুষজন ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। করোনা পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে বন্যা মোকাবিলায় প্রাণ বাঁচাতে উঁচু কোনো জায়গায় একখানে গাদাগাদি করে অবস্থান নিতে হচ্ছে বানভাসিদের। পানিবন্দি মানুষের মধ্যে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান বাংলানিউজকে জানান, নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নতুন নতুন এলাকার প্লাবিত হয়ে বীজতলাসহ ফসল পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে ধরলা ও তিস্তার পানি কমে গেলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য জেলার সবক’টি উপজেলায় মোট ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও শুকনা খাবার বিতরণের জন্য ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
এফইএস/এএটি