ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

'প্লাস্টিক বর্জন করবো, সুস্থ পরিবেশে থাকবো'

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
'প্লাস্টিক বর্জন করবো, সুস্থ পরিবেশে থাকবো'

পাথরঘাটা (বরগুনা): 'প্লাস্টিক পণ্য বর্জন করবো, সুস্থ পরিবেশে থাকবো, নদী-সাগর নিরাপদ রাখবো, সুস্থ-সবল প্রোটিনসমৃদ্ধ মাছ ধরবো' এ অঙ্গীকারে 'আন্তর্জাতিক উপকূল পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২১' পালিত হয়েছে।

মাছঘাট ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে ওয়াল্ডফিস ও বরগুনা জেলা মৎস্য অধিদপ্তর আলোচনা সভার আয়োজন করে।

 

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএফডিসির ব্যবস্থাপক লে. মো. লুৎফর রহমান।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন-পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি চৌধুরী মো. ফারুক, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনজুর রশিদ সুমন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমাম হোসেন, বিএফডিসি আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, জেলা মৎস্য শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মান্নান মাঝি, সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, ইকোফিশ-২ প্রকল্পের গবেষণা সহযোগী শহীদ নাসরুল্লাহ আল মামুনসহ বিএফডিসি মৎস্য আড়ত সমিতি, মাঝি সমিতি, ট্রলার মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন।  

উপস্থিত সবাই প্লাস্টিক বর্জন করার জন্য একমত হয়েছেন। ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত মৎস্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে বাস্তবায়নাধীন ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের ইকোফিশ-২ প্রকল্পের আওতায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এসময় শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, জীবনযাত্রা আধুনিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সমুদ্রে বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ। প্লাস্টিকের পণ্য ব্যবহারের পর তার বিশাল একটা অংশ চলে যাচ্ছে সমুদ্রে, যা বিপন্ন করছে সেখানকার জীববৈচিত্র্যকে। দিন যত যাচ্ছে ততই যেন সমুদ্রের পানি দূষিত থেকে আরও দূষিত হচ্ছে। এ জন্য আগে আমাদের নিজে উদ্যোগী হতে হবে, সচেতন হতে হবে। সমুদ্রগামী মাছ ধরা ট্রলারের জেলেদের ব্যবহার্য  প্লাস্টিক পণ্য সাগরে না ফেলে নির্ধারিত জায়গায় সংরক্ষণ করে কূলে এসে নির্ধারিত ডাম্পিং এ ফেলার জন্য সচেতন করা দরকার।  

তিনি আরও বলেন, বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও পৌরসভার সমন্বয়ে বড় ডাম্পি করার জন্য আহ্বান করেন।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, উপকূলের নদ-নদীতে ফেলা বর্জ্য জোয়ার-ভাটায় আবার আমাদের কাছেই ফিরে আসছে। শুধু যে সাগর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এমন নয় উপকূলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে আস্তে আস্তে মাছও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।  

পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন বলেন, বিএফডিসি ঘাটে পরিবেশ সুরক্ষায় এবং বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য একটি ডাস্টবিন খুব শিগগিরই স্থাপন করা হবে।  

এর আগে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রায় ছয় ঘণ্টার পরিছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীগণ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ও এর আশপাশের এলাকায় প্লাস্টিকের বস্তা, বোতল, ককশিট, পলিথিন ব্যাগ, পরিত্যক্ত ও ছেঁড়া জাল, প্লাস্টিক মোড়কজাত খাবারের প্যাকেট, নারকেলের খোসাসহ প্রায় ৫০০ কেজি অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।