ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

যেন নতুন জীবন পেল ৭০ অতিথি পাখি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
যেন নতুন জীবন পেল ৭০ অতিথি পাখি

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোল্লাহাটে শিকারিদের হাত থেকে উদ্ধার করে ৭০টি অতিথি পাখি অবমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন।  

সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুরে কালকুচ, হাঁস পাখি, কাইনসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৪০টি পাখি অবমুক্ত করা হয়।

এর আগে ভোরে মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া বিলে অভিযান চালিয়ে শিকারিদের হাত থেকে ৪০টি পাখি উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওয়াহিদ হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দ্য মণ্ডল। এসময় পাখি ধরার ফাঁদ, সাউন্ডবক্স, ব্যাটারি, পাখির ডাক রেকর্ড করা সিডিসহ দুইজনকে আটক করে উপজেলা প্রশাসন। এর আগেও বিভিন্ন সময় কোদালিয়া ও মেহেরপুর বিল থেকে অন্তত ৩০টি পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- মোল্লাহাট উপজেলার আড়ুয়াডিহি গ্রামের বিষ্ণনাথ বারইয়ের ছেলে রিপন বারই (৩৮) এবং একই গ্রামের বলাই রায়ের ছেলে সরত রায় (৩৬)। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রিপন বারইকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং সরত রায়কে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দ্য মণ্ডল। অবমুক্ত পাখির মধ্যে কাইন, কালকুচ, হাঁস পাখি, বক ও ডুমকুর রয়েছে।

পাখি অবমুক্ত করার সময় মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম ছানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওয়াহিদ হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দ্য মণ্ডল, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

মোল্লাহাটের ইউএনও মো. ওয়াহিদ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোদালিয়া বিলে অভিযান চালিয়ে ৪০টি পাখি ও পাখি ধরার ফাঁদ, সাউন্ডবক্স, ব্যাটারিসহ দুইজনকে আটক করেছি৷ পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। অতিথি পাখি ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পাখি শিকারের কৌশল সম্পর্কে ইউএনও মো. ওয়াহিদ হোসেন বলেন, নাইলনের সুতায় তৈরি ফাঁদ দিয়ে তারা পাখি শিকার করে থাকে। বড়শিতে জীবিত মাছ গেথেও পাখি শিকার করে তারা। বর্তমানে পাখি শিকারের জন্য অভিনব কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে, ইন্টারনেট থেকে পাখির ডাক ডাউনলোড করে, পেনড্রাইভে নিয়ে ভোররাত থেকে বিলের মধ্যে বাজাতে থাকে শিকারিরা। সাউন্ডবক্সের পাশে ফাঁদ পাতা থাকে। সাউন্ডবক্সে ডাক শুনে পাখি  খুঁজতে এসে ফাঁদে আটকে যায় অতিথি পাখিরা। এ কৌশলে অন্যসব পদ্ধতির থেকে বেশি পাখি পাওয়া যায়।

মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া, মেহেরপুরসহ কয়েকটি বিলে সারা বছরই অতিথি পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি থাকে। উপজেলার কিছু দুষ্টু লোক এসব পাখি শিকার করে মোল্লাহাট, চিতলমারী, বাগেরহাট, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।