রাজশাহী: জীববৈচিত্র সংরক্ষণে সচেতনতামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) পাখি কলোনি পরিদর্শন করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কার্যালয়ের কর্মকর্তা ক্রেইগ ফুলস্টোন।
রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের আয়োজনে কয়েকটি পাখি কলোনি পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শন শেষে অ্যাম্বেসীর ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস বিভাগের ওয়াইল্ড লাইভ ট্রাফিকিং অ্যাডভাইজর ক্রেইগ ফুলস্টোন বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমে বন্যপ্রাণী ও পাখি সংরক্ষণে এদেশের মানুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সরকারি দফতর এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো সুন্দরভাবে কাজ করছে। আগামীতে এসব সংগঠন সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করেন এই মার্কিন কর্মকর্তা।
এছাড়া রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের একটি এবং নাটোরের দুটি পাখি কলোনি পরিদর্শন করবেন তিনি।
এ সময় ঢাকার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রামেক হাসপাতালের ড্রেন নির্মাণের জন্য দুটি গাছ কাটা হয়। তাতে শতাধিক শামুকখোল পাখি মারা যায়। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বাদী হয়ে ৩ কোটি টাকা ক্ষতি পূরণের জন্য আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া ২০১৫-১৬ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশের বিভিন্ন গাছে আশ্রয় নিতো শত শত শামুকখোলসহ অন্যান্য পাখি। তবে ওই সময় গাছ কেটে ভবন নির্মাণ কাজ করার কারণে পাখিগুলো বাসস্থান হারায়। এরপর পাখিগুলো রামেক হাসপাতালের আশপাশের গাছে গাছে আশ্রয় নেয়। পাখির বিষ্ঠায় রামেকের পরিবেশ নষ্টের অজুহাতে গত বছর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু গাছের ডালপালা কেটে ফেলেন। এ নিয়ে পরিবেশবাদীরা প্রতিবাদ করলে গাছের ডাল কাটা বন্ধ হয়। তবে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ড্রেন নির্মাণের অজুহাতে দুটি অর্জুন গাছ কাটা হয়। এতে উড়তে না শেখা শতাধিক শামুকখোল পাখির বাচ্চা মাটিতে পড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২২
এসএস/কেএআর