টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখীপুরে হতেয়া রেঞ্জের বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে বনবিভাগের গজারি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
বিট কর্মকর্তা ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হতেয়া বিটের চতলবাইদ গ্রামের রশিদ ভুইয়ার চালা থেকে পাঁচ শতাধিক গাছ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল মজিদ মিয়া নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, হতেয়া বিটের চতলবাইদ গ্রামের ‘রশিদ ভুইয়ার চালা’টি বনবিভাগের আওতাধীন। এর আগেও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে গাছ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আব্দুল মজিদ মিয়া ও তার ভাইয়েরা। অভিযোগ রয়েছে, এ বছরও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের হাত করে পাঁচ শতাধিক গজারি গাছ চার লাখ টাকার বিনিময়ে লিটন দেওয়ানের কাছে বিক্রি করেছেন আব্দুল মজিদ।
সরেজমিন দেখা যায়, ওই চালার অর্ধেকের বেশি গজারি গাছ কাটা শেষ। শ্রমিকরা গাছের পাতা ও গাছের গুঁড়ি সরানোর কাজ করছেন। পাশেই আব্দুল মজিদ মিয়া দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ রাখেন শ্রমিকরা।
গাছ কাটা শ্রমিক হোসেন আলী জানান, গত তিনদিন ধরে তিনিসহ পাঁচজন শ্রমিক প্রায় দুইশ’ গাছ কেটেছেন। বাকি আরও অন্তত তিনশ’ গাছ কাটতে আরও অন্তত পাঁচদিন সময় লাগবে। এখানে গাছ কাটতে লিটন দেওয়ান তাদের নিয়ে এসেছেন। শুনেছেন, চার লাখ টাকায় এ গাছগুলো কিনেছেন লিটন দেওয়ান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, এ চালাটি আব্দুল মজিদ ও তার তিন ভাইয়ের নয়। তারা বনবিভাগের কর্মকর্তাদের হাত করে দীর্ঘদিন ধরে ওই জায়গা ভোগ দখল করছেন। বনবিভাগ থেকে কর্মকর্তারা এলে এর আগেও তারা পর্যাপ্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
ক্রেতা লিটন দেওয়ান বলেন, দুই মাস আগে আমার শ্বশুর এ গাছগুলো আব্দুল মজিদের কাছ থেকে কিনেছেন। দেড় মাস আগে আমার শ্বশুড় মারা গেছেন। গাছ কাটা হচ্ছে, তবে বাগানে আমি এখনও যাইনি।
আব্দুল মজিদ বলেন, এ জায়গাটি আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। আমাদের নামে রেকর্ড আছে। এর আগেও এ জায়গা থেকে তিন বার গাছ বিক্রি করেছি।
হতেয়া বিট কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি জানার পর গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
এসআই