ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

করমজলে ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ পেড়েছে ৩৪ ডিম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২২
করমজলে ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ পেড়েছে ৩৪ ডিম

বাগেরহাট: সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে আবারও ডিম দিয়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা।  

রোববার (৬ মার্চ) সকালে বন্যপ্রাণি কেন্দ্রে কচ্ছপ লালন-পালন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে একটি কচ্ছপ ৩৪টি ডিম দেয়।

বাচ্চা ফোটানোর জন্য ডিমগুলো ইনকিউবেশনে (বালুর মধ্যে) রাখা হয়েছে।  

৬০ থেকে ৬৫ দিন পরে এই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবনের করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির।  

আজাদ কবির বলেন, বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির এই কচ্ছপ আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে লালন পালন করে আসছি। বংশ বাড়ানোর জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজরে রাখছি।  

তিনি আরও বলেন, এর আগে, আমাদের এখানে কচ্ছপ ডিম দিয়েছে। সেই ডিম থেকে বাচ্চাও ফুটেছে। আজ সকালে একটি কচ্ছপ ৩৪টি ডিম দিয়েছে। সেই ডিমগুলো থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ইনকিউবেশনে রাখা হয়েছে। আশা করি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবে। বর্তমানে আমাদের এই প্রজনন কেন্দ্রে ৪৩৬টি কচ্ছপ রয়েছে।  

২০১৭ সালে দুটি কচ্ছপের ৬৩টি টি ডিম থেকে ৫৭টি বাচ্চা হয়। ২০১৮ সালে দুটি কচ্ছপের ৪৬ ডিম থেকে ২১টি বাচ্চা পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বাচ্চা পাওয়া যায়। ২০২০ সালে ১০ মে একটি কচ্ছপের ৩৫টি ডিম থেকে ৩৪টি বাচ্চা পাওয়া যায়। এসব বাচ্চা থেকে ২০১৭ সালে ২টি, ২০১৮ সালে ৫টি, ২০১৯ সালে ৫টি কচ্ছপ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অবমুক্ত করে বন বিভাগ।  

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০টি কচ্ছপ সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হবে।  

উল্লেখ, ২০০০ সালের দিকে বন্যপ্রাণী গবেষকরা মনে করেন পৃথিবীতে আর বাটাগুর বাসকার কোন অস্তিত্ত্ব নেই। পরে ২০০৮ সালে গবেষকরা প্রকৃতিতে বাটাগুর বাসকা আছে কিনা তা খুজতে শুরু করেন। খুঁজতে খুঁজতে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে ৮টি বাটাগুর বাসকা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৪টি পুরুষ ও ৪টি স্ত্রী। প্রজননের জন্য গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয় কচ্ছপগুলোকে।

বনবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা নিবিড়ভাবে লালন পালন ও প্রজননের চেষ্টা করে বাটাগুর বাসকাগুলোকে। তারপরও তেমন সাফল্য পাওয়া যায়নি। তবে, কয়েক বছরে গাজিপুরে প্রায় ৯৪টি বাচ্চা দিয়েছিল ৮টি মা কচ্ছপ। সেখানে ভালো সাড়া পাওয়ায় ২০১৪ সালে মূল ৮টি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেওয়া ৯৪টি বাচ্চাসহ করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।