শেরপুর: শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বিট বাকাকুড়া, নয়াপাড়া, উত্তর গান্ধিগাঁও, হালচাটি ও ছোট গজনী এলাকায় বন্যহাতির তাণ্ডবের পর এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে বাঘ আতঙ্ক।
গত চার/পাঁচদিনে একটি শিশু আহত হওয়ার পাশাপাশি মোট ১৮টি ছাগল খোয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আক্কাছ আলী, আমিনুল ইসলাম ও আবু তালেব জানান, বাঘ জাতীয় হিংস্র প্রাণী বা হনুমান ঘুরছে এলাকায়। ফলে পশু খোয়া যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী গ্রামের কৃষকরা তাদের গরু-ছাগল সকালে পাহাড়ে ছেড়ে দেন ঘাস খাওয়ার জন্য। সারাদিন এসব পশু ঘাস খেয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ছাগল খোয়া যাওয়ায় কৃষকরা অনুসন্ধান করতে গিয়ে পাহাড়ে ওইসব ছাগলের নাড়িভুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখেছেন। এরই মধ্যে বাকাকুড়া গ্রামের সাগরের দু’টি ছাগল, আমিনুলের একটি ছাগল, গান্ধিগাঁও গ্রামের আলমের একটি ছাগল, ঠাণ্ডু পাগলার একটি ছাগল, আক্তারের একটি ছাগলসহ কৃষকদের ১৮টি ছাগল গেল এক সপ্তাহের মধ্যে খেয়ে ফেলেছে কোনো হিংস্র প্রাণী। গান্ধিগাঁও গ্রামের মঞ্জু মিয়ার একটি গরু ও সবুজ মিয়ার একটি ভেড়া আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই হিংস্র প্রাণীটি বাঘ।
অপরদিকে উত্তর বাকাকুড়া গ্রামের গুজা ওরফে গজেন্দ্র মারাকের আট বছর বয়সী ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ অবস্থায় সীমান্তের গ্রামগুলোতে বন্যহাতির পাশাপাশি বাঘ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় বনবিভাগ সীমান্তের গ্রামবাসীকে তাদের পশু ও শিশুদের নিরাপদে রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।
বাকাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য মোসা সর্দার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বন্যহাতির তাণ্ডবের পর এলাকাবাসী এখন বাঘের আতঙ্কে ভুগছে।
রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বিট কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ বাংলানিউজকে এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি সত্য। বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত এসব গ্রামের বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন। তারা এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান কামনা করছেন।
বাংলাদেয় সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২২
এসআই