মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার হাকালুকি হাওরের জুড়ী উপজেলা অংশে অভিযান চালিয়ে ১৫টি পাখিসহ দুই শিকারিকে আটক করে এলাকাবাসী।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন এলাকায় পাখি শিকারকালে পাখিগুলো সহ দুই জনকে আটক করা হয়।
এরপর এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বস্তায় মোড়ানো ১০টি পাখি অবমুক্ত করা হয়। আহত ৩টি পাখিকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য জুড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে পাঠানো হয় এবং মৃত দুটি পাখিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
আটককৃতরা হলেন, বেলাগাও গ্রামের মনতাজ আলীর ছেলে ছায়েব আলী ও মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মো. হোসেন। তারা আর পাখি শিকার করবেন না মর্মে মুচলেকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলেন, শীত মৌসুমে পাখিদের কলরবে মুখরিত থাকে হাওর এলাকা। এ সময় বালি হাঁস, পাতিহাস, ল্যাঞ্জা হাঁস, কানাবগি, লালবগি, শামুকখুরসহ দেশি বেদেশি পাখি বিচরণ করে। এ সুযোগে পাখি শিকারিরা বিষটোপ ও বিভিন্ন ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে। পাখি শিকারিদের দমন করা না গেলে দিন দিন ঐতিহ্যবাহী পাখিগুলো হারিয়ে যাবে এবং এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
সহকারী বন সংরক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকালে হাকালুকি হাওরে গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় পাখি শিকারিদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয় এবং আহত ৩টি পাখিকে চিকিৎসার জন্য প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে আর পাখি শিকার করবেন না মর্মে মুচলেকা নিয়ে শিকারিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। পরে এলাকাবাসীর উপস্থিতে শিকার হওয়া পাখিগুলোকে অবমুক্ত করা হয়।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, শীত এলে পাখি শিকারিদের উৎপাত বেড়ে যায়। পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
এসএম