ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

অপরূপ সাজে প্রকৃতি

দেলোয়ার হোসেন বাদল, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৩
অপরূপ সাজে প্রকৃতি সূর্যের আগুন ঝরা রোদে সোনালি রঙ ছড়িয়ে দিচ্ছে সোনালু। ছবি: ডিএইচ বাদল

ইট-পাথরের বড় বড় দালান আর ধুলায় ভরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তার ধারে শোভা পাচ্ছে গ্রীষ্মের বাহারি রঙের ফুল।


প্রচণ্ড খরতাপের মধ্যেও ফুলগুলো আমাদের প্রকৃতিকে প্রাণবন্ত করে রাখে।

যান্ত্রিক নগর জীবনে প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের দেহ ও মনে কিছুটা হলেও প্রশান্তি এনে দেয়।
 



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনাপার্ক, ওসমানী উদ্যান, ধানমন্ডি লেক, জাতীয় সংসদ ভবনের পেছনের লেক রোড, বিজয় সরণি, হাতিরঝিল এবং খিলগাঁও কুড়িল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি জায়গাতেই ফুলের সমারোহ।
 




রাজধানীর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য রাস্তায় ও পার্কগুলোতে লাগানো হয়েছে বাহারি রঙের ফুলগাছ। বিভিন্ন মৌসুমে ফুল ফোটে এসব গাছে। তা দেখে মানুষ মুগ্ধ হয় ও উপভোগ করে। প্রতিবছরের মতো এবারও গাছগুলো তার সৌন্দর্য প্রকাশ করেছে।
 




ওসমানী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে কৃষ্ণচূড়ার বড় বড় গাছ। আর সবুজ পাতার ফাঁকে শোভা পাচ্ছে লাল লাল ফুল। দূর থেকে দেখলে মনে হবে গাছের ডালে অনেকগুলো লাল প্রজাপতির মেলা বসেছে।


গাছের ডালগুলো অনেক ওপরে থাকায় ছবি তুলতে পারছেন না প্রকৃতিপ্রেমীরা। ফলে মন খারাপ করে চলে যাচ্ছেন অনেকে।

 



হাতিরঝিলে প্রবেশ করলেই সবাইকে সোনালু আর জারুলফুল স্বাগত জানাবে। বাহারি ফুলে ঘেরা পুরো হাতিরঝিলের রাস্তার সৌন্দর্য সবাইকে বিমোহিত করে।  



জাতীয় সংসদ ভবনের পেছনে  লেক রোড পুরোটাই যেন ফুলের স্বর্গপূরী বানিয়ে রেখেছে। সকাল-বিকেল পরিবার-পরিজন নিয়ে শত শত দর্শনার্থীরা এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ভিড় জমান সেই কৃষ্ণচূড়ার আগুনপুরীতে।



গোলাপি কাঠগোলাপ, সোনালু আর নাগলিঙ্গম ফুলে ছেয়ে আছে ঢাবির কার্জনহল এলাকার গাছগুলো। গ্রীষ্মের ফুলগুলো এ সময়ে ঘুরতে আসা প্রতিটি মানুষের মনকে নাড়া দেয়।



সেলফি আর ফটো তোলার হিড়িক পড়ে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে কোণায় কোণায় ফুটেছে বাগান বিলাস, নয়নতাঁরা ফুলসহ নাম না জানা শত শত ফুল, যা পাথুরের রাজধানীকে করেছে শোভাময়ী ও আকর্ষণীয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।