ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

প্রচণ্ড তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে ফুটপাতের শরবত 

শাকিল আহমেদ ,স্টাফ ফটোকরেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
প্রচণ্ড তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে ফুটপাতের শরবত  ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বৈশাখের শেষের দিকে প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে রাজধানীর ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ। কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তার উপর গরমের তীব্রতায় তৃষ্ণার্ত মানুষ ও প্রাণীকূলে নাভিশ্বাসে উপক্রম। চারিদিকে একটু শীতল পরশ লাভের জন্য মানুষের ব্যাকুল প্রচেষ্টা।

প্রচণ্ড তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে নানা ধরনের ঠাণ্ডা শরবতই ভরসা এখন খেটে খাওয়া মানুষদের।

অনেকদিন বৃষ্টি না থাকার কারণে দিনে দিনে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। সবেচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন রোদে খেটেখাওয়া মানুষগুলো। ফুটপাতের দোকানদার, ঠেলাগাড়িচালক, অটোরিকশাচালক, ভ্যান-সিএনজিচালকসহ দিনমজুরেরা।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, পল্টন,মতিঝিল এলাকায় প্রচণ্ড তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে শরবতের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষেরা। ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। এছাড়াও গুলিস্তান এলাকায় রয়েছে অনেকগুলো শরবতের দোকান।  

যেদিকে তাকাই সেদিকেই দেখা যায় রঙবেঙের শরবতের দোকান। কোথাও কোথাও বিক্রি করছেন বাহারি রকমের শরবত আবার কোথাও লেবুর শরবত ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে। ডাব ও আখের রসও পাওয়া যাচ্ছে।  

এছাড়াও এই প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশের দোকান কিংবা হকারের কাছ থেকে কিনে পান করছে বিভিন্ন কোম্পানির পানীয় ও মিনারেল ওয়াটার।  

রিকশাচালক আব্দুর রহিম জানায়, প্রচণ্ড গরমে যাত্রী টানতে পারছি না। রোদে বারবার তৃষ্ণা পাচ্ছে। তাই দুই গ্লাস শরবত খেলাম।  

গুলিস্তান এলাকায় ঠেলাগাড়িচালক আব্দুল বাসার চলন্ত সড়কে দাঁড়িয়ে পানি পান করতে দেখা যায়।  

আব্দুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, মাথার ওপর যে রোদ, সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। প্রচন্ড তাপমাত্রায় ঠেলা নিয়ে অনেক কষ্ট হয়। একটুতেই ঘামে ভিজে গোসল হয়ে যায়। যে কারণে শরীরে পানির চাহিদাও হয় প্রচুর। পিপাসা পায় খুব। তাই যেখানে জ্যামে আটকে যাই সেখানেই পানি পান করি।

এদিকে তীব্র গরমে বাড়ছে নানা রকমের রোগ। বিশেষ করে ডায়রিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। বিশেষজ্ঞরা প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে পরামর্শ দিলেও কর্মজীবী লোকজন পিপাসা মেটাতে বাধ্য হয়ে ফুটপাতের শরবত, পানি পান করছেন। এতে করে পানিবাহিত অন্যান্য রোগও ছড়াচ্ছে দিন দিন।

এছাড়াও শহরে আশপাশ এলাকাগুলোতে প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ডোবা কিংবা খালের পানিতে দিনভর সাঁতার কাটছে শিশু কিশোরেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।