হবিগঞ্জ: জেলায় মৎস্যমেলায় উঠেছে ৭৫ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ। এর দাম চাওয়া হচ্ছে এক লাখ টাকা।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল নতুন বাজার মাঠে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে আয়োজন করা মেলায় এ মাছটি তুলেছেন স্থানীয় আব্দুল খালেক নামের এক ব্যবসায়ী।
সম্প্রতি জেলেরা সিলেটের সুরমা নদী থেকে বিশালাকার এই মাছটি ধরেন। মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক তাদের থেকে এটি কিনে মেলায় বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন।
মাছটি কত টাকায় কিনেছেন জানতে চাইলে তা বলতে চাননি এই ব্যবসায়ী। তবে এক লাখ টাকা দাম পেলে বিক্রি করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুল খালেক বলেন, ‘মেলার কয়েকদিন আগে থেকে খোঁজ-খবর রাখতে হয়েছে। তারপরও উচ্চমূল্যে মাছটি কিনে এনেছি। ক্রেতারা ভিন্ন ভিন্ন দাম বলে যাচ্ছেন। পছন্দের দাম পেলে মাছটি বিক্রি করব। ’
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে পইল নতুন বাজার মাঠে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে মাছের মেলা আয়োজন করা হয়েছে। মেলাটি পইলসহ আশপাশের গ্রামের মানুষের মধ্যে যেন এক উৎসবের আমেজ নিয়ে এসেছে।
এখানে অল্প দাম থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্ত মাছ বিক্রি হয়ে থকে। বিশালাকৃতির বাঘাইড়, বোয়াল, চিতল, রুই, কাতল, কার্প, কালী বাউশ, গ্রাসকার্প, শোল, গজার ইত্যাদি মাছ মেলায় উঠেছে।
এছাড়া পুঁটি, চিংড়ি, কৈ, চাপিলা, চান্দা ইত্যাদি মাছও উঠেছে মেলায়। মাছের পাশাপাশি মেলায় বিভিন্ন কৃষিজাত পণ্যের সমাগমও মিলেছে।
পইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ জানান, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বাগ্মী নেতা বিপিন চন্দ্র পালের জন্মভূমি পইল গ্রামে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে এ মাছ মেলা চলছে। এবার কয়েক কোটি টাকার মাছ বিক্রি হবে।
উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) রেড লিস্ট (লাল তালিকাভুক্ত প্রাণী) অনুযায়ী মিঠা পানির মাছ বাঘাইড় ‘মহাবিপন্ন’।
এছাড়াও বাঘাইড় মাছ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ২ নম্বর তফসিলের ‘মৎস্য’ পর্বের ৭ ক্রমিক নম্বর ভুক্ত একটি সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী।
এই আইন অনুযায়ী, বাঘাইড় মাছ শিকার, কেনাবেচা, পরিবহন কিংবা দখলে রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪
এসএএইচ