ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

কেঁচোতে বধ কুচিয়া!

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৫
কেঁচোতে বধ কুচিয়া! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রংপুর থেকে: কচুরিপানার ফাঁকে খুঁজে খুঁজে পুকুরপাড়ের গর্তে হাত ঢুকাচ্ছেন আশিকুর। এরপর সুতোর মাথা প্রবেশ করাচ্ছেন সে গর্তে।

সুতো ঘুরাচ্ছেন, সাড়া নেই। আশাহত নন আশিকুর। চলছে অভিযান।
 
হঠাৎ একটি গর্তে সুতো ঢুকিয়ে মনোযোগ দ্বিগুণ। ওপাশ থেকে সুতোতে টান পড়ছে, এপাশ থেকে আস্তে আস্তে ঘোরাচ্ছেন আশিকুর। হঠাৎ জোরে টান দিতেই সুতোর সঙ্গে বেরিয়ে এলো আস্ত একটা চিকচিকে কুচিয়া! লম্বায় প্রায় দুই ফুট।
 
সুতোর মাথায় আটকা কুচিয়ার মুখ। হাসির ঝিলিকে উজ্জল শ্যামলা বর্ণের আশিকুরের মুখ। ভরলেন বস্তায়।
 
লম্বা চিকন নাইলনের সুতোর মাথায় বড়শি। আর তাতে গাঁথা কেঁচো। এই কেঁচোতে কামড় দিলেই কাবু হয় কুচিয়া। দেশি কুচিয়া শিকারের এ দৃশ্য সচরাচর চোখে পড়ে না।
 
রংপুর সদর উপজেলার দর্শনা এলাকার আশিকুর রহমান এভাবে কুচিয়া শিকার করেন গত কয়েক বছর ধরে। বর্ষাকালেই কুচিয়া শিকার ভাল। প্রতিদিন ৩/৫ কেজি পযর্ন্ত শিকার করেন, কেজি প্রতি বিক্রি হয় দেড়শ’ টাকা পর্যন্ত।
 
ঈদের পর দিন সকালে গ্রামের ডোবা-পুকুরে দেখা মেলে শিকারি আশিকুরের। দর্শনা মোড়ের বাজারেই স্থানীয়ভাবে বিক্রি হয় কুচিয়া, তা দিয়ে চলে সংসার। চাষের কুচিয়ার চেয়ে দেশি কুচিয়ার চাহিদা ভালো বলে জানান আশিকুর।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৫
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।