মানুষ বিচিত্র প্রাণি। একেক মানুষের মনোভাব আর প্রকাশভঙ্গী একেক রকম।
এবার এক নারী শিক্ষকের প্রতিবাদের ধরনে তার যুৎসই প্রমাণ মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মাইন সিটির বাসিন্দা এই শিক্ষকের নাম শেরিল জনসন।
৬০ বছর বয়সী এই শিক্ষক ছাত্রদের জন্য প্রদেয় শিক্ষাঋণ প্রাপ্তিতে ধীরগতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে একাই নেমেছিলেন রাস্তায়। আর তা ছিল ৪০ মাইল দীর্ঘ এক পদযাত্রা। তবে এই পদযাত্রাটা তিনি করেছেন শম্বুক-গতিতে। আর এজন্য নিজেকে সাজিয়েছিলেন ব্যাঙের ছাতা বা মাশরুমের আদলে।
গত রোববার মাশরুম সেজে তার এই অভিনব পদযাত্রা লোকের নজরও কেড়েছে বেশ। মিডিয়ার আলোও পড়েছে তার উপর।
ছাত্রঋণ প্রদানে চলমান অব্যবস্থাপনায় মার্কিন মুলুকে কোটি কোটি ছাত্র পড়েন নানা দুর্ভোগে।
শেরিল তাই এ ব্যাপারে সবার নজর কাড়তে বেছে নেন অদ্ভুত সাজ পোশাক। পা থেকে মাথা পর্যন্ত মাশরুমের পোশাক পরে হাতে একটা লাল রঙের শামুক নিয়ে তিনি তার অভিনব পদযাত্রায় নামেন।
তার গন্তব্য ছিল তার নিজের শহর ব্রিজটন থেকে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর পোর্টল্যান্ড। অবশ্য বয়সের কারণে এতোটা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারেন নি তিনি।
তবে দেশবাসী ও মিডিয়ার নজর ঠিকই কেড়েছেন। আর তাতেই খুশি তিনি। কেননা তার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।
১৫ বছর আগে তিনি নিজে ছাত্রাবস্থায় ৩৮ হাজার ডলার ছাত্রঋণ হিসেবে নিয়েছিলেন।
ঋণ পরিশোধের জন্য পাশাপাশি দুটো চাকরিও করছিলেন। কিন্তু বিধি ছিল বাম। এক পর্যায়ে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। তখন তার পক্ষে ঋণের কিস্তি পরিশোধ কঠিন হয়ে ওঠে।
সঠিক সময়ে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে সুদে আসলে তার দেনা ১ লাখ ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। এমন অবস্থা তার একার নয়।
মার্কিন মুলুকে এমন অবস্থা লাখো অসহায় ছাত্রছাত্রীর। তাদের দুরাবস্থার কথা কেউ শুনতে চায় না। তাই এবার শেরিল ভাবলেন এর কঠিন একটা প্রতিবাদ হওয়া দরকার।
সেটা তিনি করে দেখালেন অভিনব কায়দায়।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৫
জেএম