ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন প্রজাতির মানব ফসিল আবিষ্কার!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৫
দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন প্রজাতির মানব ফসিল আবিষ্কার!

ঢাকা: মানব বিবর্তনের ইতিহাসে যোগ হলো আরও একটি নতুন অধ্যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার একটি গুহায় আদিম মানুষের নতুন এক শ্রেণীর ফসিল পাওয়া গেছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন দেশটির একদল গবেষক।



এ প্রজাতির মানুষের ফসিল আবিষ্কার এবারই প্রথম। হোমো নলেদি নামের এ প্রজাতিকে আধুনিক মানুষের নিকটতম বর্গ বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের কাছেই এক গুহায় এর হদিস মিলেছে। এটি ক্র্যাডল অব হিউম্যানকাইন্ড ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অংশবিশেষ বলে জানা যায়।


শুরু থেকেই বলি, হোমো নলেদি নামের আনকোরা মানব প্রজাতির প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে। রিক হান্টার ও স্টিভেন টাকার নামে দুই ব্যক্তি এ গুহাটি আবিষ্কার করেন। রিক ও স্টিভেন দু’জনেই দক্ষিণ আফ্রিকার স্পেলিওলজিক্যাল এক্সপ্লোরেশন ক্লাবের (এসইসি) সদস্য। তারা গুহার ভেতর ৯৮ ফুট প্রশস্ত একটি বিচ্ছিন্ন চেম্বার আবিষ্কার করেন।


ধারণা অনুযায়ী, এ বিচ্ছিন্ন চেম্বারটি ক্র্যাডল অব হিউম্যানকাইন্ড ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের ৩০ মিটার নিচে ভূগর্ভস্থ অঞ্চলে আবস্থিত। এটি ডিনলেদি চেম্বার নামে পরিচিত। রিক ও স্টিভেন স্বতন্ত্র এ এলাকাটিতে মানব অস্থির ফসিল দেখতে পান। পরবর্তীতে তারাই অনুসন্ধানীদের কাছে এগুলোর ছবি পাঠান।

এ আবিষ্কারের অন্যতম অগ্রদূত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উইটওয়াটারস্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অধ্যাপক লি বার্গার।


লি বার্গার ও তার দল পরবর্তীতে ফসিলগুলোর বিস্তর গবেষণা করেন। লি জানান, বিচ্ছিন্ন যে চেম্বারটিতে এ ফসিলগুলো পাওয়া গেছে তা সম্ভবত সে সময়কার আদিম মানুষের কবরস্থান। অর্থাৎ, তারা কিছুটা আধুনিক মানুষের মতো করেই ভাবতো।

লি’র মতে, আধুনিক মানুষ ছাড়াও যে মৃতদেহ সৎকার বা কবর দেওয়ার মতো স্বতন্ত্র চিন্তা অন্য কোনো মানব প্রজাতি করতো তা এর আগে বিজ্ঞানের অজানা ছিলো।


গুহার অভ্যন্তরে কমপক্ষে ১৫ জন হোমো নলেদির পনেরোশো হাড় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো অন্তত দুই মিলিয়ন বছরেরও বেশি পুরোনো।
হাড় সংযোজন করে বিজ্ঞানীরা জানান, এদের উচ্চতা ছিলো পাঁচ ফুট ও ওজন প্রায় ৪৬ কেজির মতো ছিলো।
তাদের কাঁধের গঠন দেখে বিজ্ঞানীদের ধারণা, এরা সহজেই গাছে চড়তে পারতো। কিন্তু পায়ের গড়ন একেবারেই বর্তমান মানুষের মতো।


আবার তাদের মাথার খুলি প্রথম যুগের মানুষের মতো হলেও মস্তিষ্কের আকার খুবই ছোট। অনেকটা কমলালেবুর মতো।
হোমো নলেদির ফসিল ২০১৩ সালে আবিষ্কার হলেও দীর্ঘ দু’বছর গবেষণার পর চলতি বছর সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বিজ্ঞানীরা তাদের আবিষ্কারের ফলাফল প্রকাশ করেন।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৫
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।