উপরে লেখা শিরোনামের কথাগুলো শিক্ষিত বাঙালি মাত্রেরই জানা। তো মানুষ তো খোঁজে অন্যকে, হারায়ও অন্যকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক লোকের হয়েছিল এরকমই দুর্দশা। ২০০৪ সালে একদল দুর্বৃত্ত ওই লোককে পিটিয়ে এমন আহত করেছিল যে এক সময় ওরা ওকে মৃত ভেবে বার্গার কিং–এর একটি আউটলেটের সামনে ফেলে রেখে যায়। পরে হাসপাতালে তার জ্ঞান ফেরে। কিন্তু এরই মধ্যে ওর স্মৃতিবিলোপ ঘটে যায় পুরোপুরি। সে যে আসলে কে বা তার কিইবা হয়েছিল কিছুই আর মনে ছিল না তার। পরে সেদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে তাকে দেখিয়ে দর্শকদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় কেউ তাকে চেনে কিনা। তাতেও কোনো সাড়া মেলেনি। পরে একদল চিকিৎসক তার ডিএনএ নিয়ে দেশব্যাপী ডিএনএ ডাটাবেজের সাথে মিলিয়ে দেখতে শুরু করেন। একাজে ব্যয় হয়ে যায় দু’দুটো বছর। তবু কিছুতেই কিছু হয়নি। দীর্ঘ ১১ বছর পর সম্প্রতি ওই লোক সবাইকে অবাক করে দিয়ে আপনা থেকেই ফিরে পেয়েছে তার হারানো স্মৃতি। তার স্মরণে এসেছে নিজের নাম---বেঞ্জামিন কাইল। সংক্ষেপে বি.কে।
তার নিজের ভাষায়, “ আমি বাড়ি ছেড়েছিলাম সেই কবে –১৯৭৬ সালে। এরপর থেকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আর দেখা হয় নি আমার। যোগাযোগও ছিল না। সবাই হয়তো ভেবেছিল আমি মরেটরে গেছি।
যাহোক, বেঞ্জামিন এখন বাড়ি ফিরবে বলে মনস্থির করেছে। তার ইচ্ছে বাড়িতে হাজির হয়ে সবাইকে অবাক করে দেবে সে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৫
জেএম