ফুটবল খেলা পরিচালনা করার সময় মাঠে রেফারিকে ঘনঘন বাজাতে হয় বাঁশি। আর কোনো খেলোয়াড় নিয়ম ভঙ্গ বা অন্যায় করলে তাকে তাৎক্ষণিক শাস্তির আয়তায় আনার জন্য আছে হলুদ ও লাল কার্ডের ব্যবস্থা।
এই ভয়ানক ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহান্তে, ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তে শহরের কাছে ব্রুমাদিনহোতে এক আঞ্চলিক ফুটবল লীগ ম্যাচের সময়। খেলা চলছিল অপেশাদার দল ব্রুমাদিনহোর ও আমানতেস দা বোলার মধ্যে। খেলার এক পর্যায়ে একটি দলের এক খেলোয়াড় ফাউল করে বসলে তাকে রেফারি গাব্রিয়েল মুরতা লাল কার্ড দেখান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই খেলোয়াড় রেফারিকে লাথি ও কিল-ঘুসি মারেন। তখন এর বদলা নিতে রেফারি মুরতা ছুটে যান চেঞ্জিং রুমে। সেখানে রাখা নিজের বন্দুকটা নিয়ে তিনি আবার মাঠে প্রবেশ করেন এবং তেড়ে যান তাকে লাঞ্ছনাকারী খেলোয়াড়ের দিকে। এ-সময় পুরো মাঠজুড়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। অবশেষে লাইন্সম্যানরা তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে শান্ত করেন।
এতা বড় কাণ্ড করার পরও রেফারিদের সংগঠন কিন্তু তার পক্ষে ঠিকই সাফাই গাইছে। অবশ্য তাতেও পার পাবেন না তিনি। অ-রেফারিসুলভ আচরণ ও বন্দুক নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য রেফারি মুরতার ওপর নেমে আসতে যাচ্ছে শাস্তির খড়্গ। আপাতত তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে। তারপর তাকে হয় সাময়িক অথবা চিরতরে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন সেখানকার এক ফুটবলকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৫
জেএম