ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

পোড়াদহ মেলা

মাছ ও মিষ্টি ঘিরে জামাই উৎসব

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
মাছ ও মিষ্টি ঘিরে জামাই উৎসব ছবি: আরিফ জাহান / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাবতলীর (বগুড়া) পোড়াদহ মেলা থেকে ফিরে: ছোট ছোট জটলার কাছে যেতেই মানুষের মুখে-মুখে শুধু বড় বড় মাছের নাম। আর বাতাসে বাহারি মিষ্টির মৌ মৌ ঘ্রাণ।



বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার মাছ ও মিষ্টির জন্য বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেলো।

প্রতিবছর গাবতলী উপজেলার পোড়াদহে বসা এ মেলার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো, শ্বশুর-শাশুড়ির দেওয়া সালামি ও জামাইয়ের নিজের গচ্ছিত টাকা দিয়ে বেড়াতে আসা জামাইদের মেলার মাঠে ধুম কেনাকাটা।

মেলা ঘুরে জানা যায়, বছরের এ সময়টাতে এ অঞ্চলের মেয়েরা স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি আসেন। পরে এ মেলাতে জামাইরা আসেন মাছ-মিষ্টি কিনতে। মেলায় ওঠা বড় আকারের মাছ ও বাহারি স্বাদের মিষ্টি কিনে জামাই ফেরেন শ্বশুরবাড়ি। সেই মাছ-মিষ্টিতে এলাকার প্রায় প্রতি বাড়িতে চলে জামাই উৎসব।

এবারো মেলায় উঠেছে ৬০ কেজি ওজনের বাঘাইড়, ৩০ কেজি ওজনের আইড়কাটা, ২০ কেজি ওজনের যমুনার বোয়াল, ২০ কেজি ওজনের কাতলা এবং ৮-১২ কেজির ওজনের রুই, মৃগেল, সিলভার, বিগহেড, ব্লাক কার্প, গ্রাস কার্প, গাং চিতল, চিতলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উঠেছে। সেইসঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে ৫ থেকে ১০ কেজি ওজনের বড় আকারের মিষ্টিসহ বাহারি নাম ও স্বাদের সব মিষ্টি।
 
মেলায় ঘুরতে ‍আসা এলাকার জামাই সুমন বাংলানিউজকে জানান, তিনি ৬ হাজার টাকা দিয়ে ৮ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ কিনেছেন। এরপর মেলা ঘুরে ৮-১০কেজির মত মিষ্টি কিনে শ্বশুরালয়ে ফিরবেন। তার নেওয়া মাছ-মিষ্টিতে শ্বশুরবাড়িতে আনন্দ-উৎসবের আবহ তৈরি হবে।

মাছ ব্যবসায়ী শাহিন ও শামীম বাংলানিউজকে জানান, বিগত সময়ের ন্যায় এবারো তারা এই মেলায় অনেক মাছ এনেছেন। বেচাকেনাও বেশ ভাল হয়েছে। আর এ জন্য তাদের বেশ কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। তবে ব্যবসায় লাভ হওয়ায় সেই কষ্টকে কষ্ট মনে হচ্ছে না বলেও মত তাদের।   
 
আড়তদার বুলু মিয়া জানান, এবারের মেলায় যমুনার বড় বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ পুকুরে চাষ করা মাছের প্রচুর আমদানি ঘটেছে। তবে ৭-৮কেজি ওজনের মাছের চাহিদা বেশি। ক্রেতার চাহিদা বুঝে ব্যবসায়ীরা মেলায় এই ওজনের মাছের বেশি আমদানি করেছেন।  
 
মিষ্টি দোকানি আসলাম হোসেন ও আব্দুল মোমিন জানান, তারা এই ব্যবসার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করার পর থেকেই এই মেলায় মিষ্টি বিক্রি করতে আসেন। এবারো তারা বিভিন্ন মিষ্টান্ন নিয়ে মেলায় এসেছেন। বেচাবিক্রিও ভালো হয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
এমবিএইচ/এসআর

** রেকর্ড পরিমাণ মাছের আমদানি
** মাছের মেলায় ১০ কেজি মাছ মিষ্টি!
** ৬০ কেজির বাঘাইড়, দাম ৯০ হাজার!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।