সিলেট: বাড়ির নাম পাখি বাড়ি। মানে কী? পাখির তো বাসা হয়, বাড়ি কেন? অবাক হচ্ছেন, আসলেই পাখিবাড়ি।
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের সালিয়া গ্রাম, গ্রামটির ‘বড়বাড়ি’।
নাম ফলকে ‘সালিয়া বড়বাড়ি’, তবে পাখিদের ‘দখলে’ থাকায় এ নামটি চাপা পড়ে এখন হয়ে গেছে ‘পাখিবাড়ি। ’ স্থানীয় লোকজন থেকে শুরু করে জেলা শহরের মানুষও বাড়িটিকে এ নামেই চেনেন।
যা পূণ্যভূমি সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাড়িটির প্রায় দুই বিঘা আয়তনের পুকুরের চারদিকে বাঁশসহ নানা জাতের গাছে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বসবাস।
প্রতিদিনই সাদা বকের ওড়াউড়ি, পানকৌড়িসহ অন্যান্য পাখিদের মিলনমেলা দেখতে এ বাড়িতে ভিড় করেন পর্যটকরা।
বাড়ির মালিক প্রবাসী এমদাদুল হক জানালেন, ২০ বছরেরও বেশি সময় থেকে পাখিগুলো এ বাড়িতে আছে। পাখিদের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্যে পাঁচজন লোক বছর জুড়ে কাজ করেন।
প্রতিমাসে তাদের বেতন দিতে হয় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। পাখির সঙ্গে দু’টি বানর, তিনটি হরিণ কিনে এ বাড়িতে রাখা হয়েছে। বাড়ির সব কিছুই পাখিদের জন্ম উন্মুক্ত, উন্মুক্ত পুকুরটিও।
এই পুকুর থেকে মাছসহ অন্যান্য খাবার সংগ্রহ করে পানকৌরি ও বক। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলে পাখিদের কিচির-মিচির, নির্জন রাতেও শোনা যায় পাখির ডাক।
বাড়ির কর্তা এমদাদুল জানান, সারা বছর এসব পাখি এখানে থাকে না। বৈশাখ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত প্রজননকালে তারা এখানে আসে। ১২ বছর ধরে কোনো বছরই ব্যতিক্রম হয়নি।
পাখিগুলো নিশ্চিন্তে বংশবিস্তার করে ফের হাওরে চলে যায়। এ সময়টায় বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা পাখি দেখতে আসেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৬
এমএ/