তেমনি একজন মায়ের কাছেও সন্তানের মুখ থেকে ‘মা’ ডাক শোনাটি সবচেয়ে ভালোলাগার মুহূর্ত। ‘মা’ শব্দটির সঙ্গে মিশে আছে মায়া-মমতা ও ভালোবাসা।
রাজধানীর কমলাপুর টিটিপাড়ার বস্তিতে গিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্দী এক মাকে দেখা যায়। নাম নাছিমা। সে তার কলিজার টুকরা চার বছরের শিশু নয়নের কান পরিষ্কারে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন।
মা সব সময়ই সন্তানের প্রতি একটু বেশিই খেয়াল রাখে। সবার কাছেই মায়ের চেয়ে আপন আর কেউ নেই। সন্তানই মায়ের কাছে সব। রাজধানীর প্রচন্ড গরমে শিশু মামুনকে পরম যত্নে বুড়িগঙ্গা নদীর পানিতে গোসল করিয়ে দিচ্ছেন তার মা।
‘মা’ ছোট্ট একটা শব্দ। কিন্তু তার পরিধি অসীম। সবচেয়ে কাছের মানুষ তিনি, সবচেয়ে প্রিয়। মায়ের বুকের হূদস্পন্দন তার কাছে পরিচিত। মায়ের বুকের দুধে, শরীরের উষ্ণতায় সবার বেড়ে ওঠা, তেমনিভাবে মা তার সন্তানকে আগলে ধরে পরম শান্তিতে ঘুমাচ্ছে।
সারাদিন কাজ শেষে দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার সময় শিশু বাচ্চাটির খাওয়া আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার কারনে মা তার খাওয়া রেখেই হাত ধুয়ে তার বাচ্চার মুখ ধুয়ে দিচ্ছেন। একেই বলে মায়ের ভালোবাসা।
সন্তানের কিছু হলে তা যেন সবার আগে বুঝতে পারে মা। শরীর খারাপ করলে, মন ভালো না থাকলে, যদি মায়ের সামনে আসা হয় কিভাবে যেন তিনি বুঝে ফেলে। তেমনিভাবে কয়েকদিন ধরে পাতলা পায়খানায় ভুগছে শিশু হৃদয় এতে করে মায়ের ঘুম নেই দু’চোখে। তাই সে থানকুনি পাতার রস খাওয়াতে বাধ্য করছে তার সন্তান হৃদয়কে।
প্রত্যেকের কাছেই তার মায়ের পরে আর কিছু নেই, মায়ের আসন সবার ওপরে। শিশু সন্তান জন্ম হওয়া পর থেকেই যেন মায়ের দায়িত্ব বেড়ে যায়। সন্তানের ভালোমন্দ সব কিছু মায়েরই খেয়াল রাখতে হয়। তেমনিভাবে এখানে এই বাচ্চাটি পায়খানা করে দিলে তার মা যেন অন্যদিকে মন না দিয়ে তার সন্তানকে পরিষ্কার করে দিচ্ছেন। সব শেষে বলতে হয় ‘মা’ ডাকের মতো মধুর ডাক পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। মা-কে ঘিরে যে আবেগ তার যেন শেষ নেই। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তা বহমান।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, ১৪ মে, ২০১৭
এমআরএম/এসআরএস