উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে জ্যৈষ্ঠ মাসের রাতে শিশির পড়ছে। সকালে মেঠো পথে চলতে গেলে পা ভিজে যাচ্ছে শিশির বিন্দুতে।
কখনো কখনো দিনে প্রচণ্ড তাপদাহ হলেও রাতে বৃষ্টি বাতাস বয়ে যাচ্ছে। পড়ছে শিশির। কম্বল বা হালকা গরম চাদর এখনও রয়ে গেছে এ জেলার প্রতিটি বাসা বাড়ির বিছানায়। বৈরী আবহাওয়ায় কখনও চলছে ফ্যান বা এসি, আবার কখনও গায়ে জড়াতে হচ্ছে গরম কাপড়।
রাতের আকাশে কখনও কালো মেঘের গর্জনে ধেয়ে আসে কালবৈশাখী ঝড়। চলে মুশুল ধারে বৃষ্টি। আবার কখনও মুহূর্তে রূপ পাল্টে রাতের আকাশে চাঁদ তারার মেলা বসে। যেন শরৎ কালের আবির্ভাব ঘটেছে জ্যৈষ্ঠের আকাশে। আবহাওয়ার এমন অবস্থা চলছে গত এক সপ্তাহ ধরে।
আবহাওয়ার এ বৈরি আচরণে বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগবালাই। জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার হাসপাতালগুলোর আন্তঃবিভাগে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম হলেও বহিঃবিভাগে চিকিৎসাপত্র নিতে রোগীদের ভীড় দেখা গেছে। বিশেষ করে বৈরি এ আবহাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আজমল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কখনও প্রচণ্ড গরম আবার কখনও ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়ায় মানবদেহে এ বৈরী আবহাওয়াটা সহনীয় হচ্ছে না। বিধায় সর্দি জ্বরসহ শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বহিঃবিভাগে এমন অনেক রোগী প্রতিদিন চিকিৎসাপত্র নিচ্ছেন। রংপুর আবহাওয়া অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের সহকারী ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। যার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। রংপুর অঞ্চলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫/৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ৪০ মিলিমিটার ও বুধবার ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা বাড়লেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে রংপুর, কুডিগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
আরএ/জেডএম