ছোট দোকানটির মালিক মাহমুদ মিয়া নিজেও দুঃখের দাঁড় বেয়ে চলা জীবননদীর এক মাঝি।
এমন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পান-ব্যবসায়ী এমন অবাক করা নামটি নির্বাচনে বিন্দুমাত্র বিলম্ব করেননি।
সেন্ট্রাল রোডের পাশেই এ দোকানটির অবস্থান। পানপ্রেমিদের ভিড় লেগে থাকে সবসময়।
এমন নাম রাখার কারণ জানতে চাইলে দোকানের মালিক মাহমুদ মিয়া বলেন, দুটি কারণে এমন নাম রেখেছি। একটি কারণ মজা করে নামটির মাঝে চমক সৃষ্টি করা। অপরটি দুঃখী মানুষরা এখানে পান খেতে আসবে এই ভেবে।
আয়-রোজগার এবং সংসার সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে পান ছাড়াও সব ধরনের সিগারেট রয়েছে। তবে পান খেতেই লোকজন আসেন বেশি। দৈনিক তিন-চারশ’ পান বিক্রি হয়। প্রতিটি পানের দাম পাঁচ টাকা।
সব খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক চার-পাঁচ’শ টাকা আয় হয়। বাবা-মা, ভাই-বোন মিলে পরিবারে প্রায় ১৭ জন সদস্য। এদের মধ্যে তিনজন উপার্জনকারী।
মাহমুদ মিয়ার সঙ্গে কথা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এবার বিদায় নেওয়ার পালা। হঠাৎই তিনি আক্ষেপের সঙ্গে বলতে লাগলেন, কার জীবনে দুঃখ নাই ভাই বলেন? দু’-একটি দুঃখের কথা বললেও মানুষ স্বাভাবিকভাবেই হালকা হয়। পান চিবাতে চিবাতে অনেক কাস্টমারই তাদের জীবনের নানান সুখ-দুঃখের কথা আমাকে অল্পবিস্তর বলেন। তাতে তাদের বুকে জ্বালা-যন্ত্রণা কিছু হয়তো কমে এই ভেবে ভালো লাগে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
বিবিবি/আরআর/বিএস