সিগমুন্ড ফ্রয়েডের মতে,সবই তো চেতন মনের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রভাব। মনোবিদদের মতে মস্তিষ্কের তিনটি ভাগ- চেতন, অবচেতন ও অচেতন।
এই চেতন মন দেখতে কেমন? কী অবস্থা হয় যখন ভালো অনুভূতি হয় কিংবা জটিল কোনো বিষয় ঘুরপাক খায়? এসব তো ব্রেইন স্কানে ধরা পড়ে না। তবে কাছাকাছি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলেন দুই বিজ্ঞানী।
গ্রেগ ডান ও ব্রায়ান এডওয়ার্ডস দু’জনই নিউরোসায়েন্টিস্ট। সেইসঙ্গে আবার শিল্পীও। দু’জন হাতে এঁকে ও বিশেষ এচিং (প্রিন্টমেকিংয়ের একটি টেকনিক) ব্যবহার করে মস্তিষ্কের সৌন্দর্য ও জটিলতা ছবিতে ধরার চেষ্টা করেছেন।
মূল ছবিটি কর্টেক্সের ভিস্যুয়াল। বাকি চারটির একটি থ্যালামাস ও ব্যাসাল গ্যাংলিয়া, যা আমাদের অনুভূতি, নড়াচড়া ও সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
দ্বিতীয়টি সেলেব্রাম, যা আমাদের বাহ্যিক নড়াচড়া ও শারীরিক সচেতনতা সামলায়।
তৃতীয়টি প্যারিয়েটাল গাইরাস, যা নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের দৃষ্টি ও সংশ্লিষ্ট অঙ্গের নড়াচড়া।
চতুর্থটি ব্রেইনস্টেম ও সেলেব্রাম, যা যৌথভাবে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ও শারীরিক সচেতনতা নিয়ন্ত্রণ করে।
‘সেল্ফ রিফ্লেক্টেড’ শিরোনামে মস্তিষ্কের এই চিত্রকর্মগুলো আঁকতে ডান ও এডওয়ার্ডস দিস্তা দিস্তা মস্তিষ্কের তথ্য, নিউরনের বিশদ স্ক্যান ও চিত্র এবং কীভাবে তারা একে অন্যের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে ইত্যাদি গবেষণা ও ব্যবহার করেছেন। এরপর স্বচ্ছ কাগজে হ্যান্ড ড্রয়িংয়ে এঁকেছেন মস্তিষ্কের সৌন্দর্য ও জটিলতার ছবি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০২ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
এসএনএস