লাল, সবুজ, হলুদ আর বেগুনি রঙের বড় বড় ফুলের চরকিগুলো যেন নিজগুনে টেনে নিচ্ছে দুপুরের রোদের আভাটুকু। দুষ্টু-মিষ্টি হাওয়ায় ঘুরছে নিজের সবটুকু অস্তিত্ব জানান দিয়ে।
এরপর বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গেলেন। হাতে তুলে নিলেন রঙিন কাগজের ফুলগুলো। এরপর তাতে ফুঁ দিয়েই দৃষ্টি আবদ্ধ করলেন তার ঘূর্ণনে। মুখে ফুটে উঠলো শৈশবের হাসি। আহা কতোদিন পর এই চরকি খেলা।
কথা হয় বাংলানিউজের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘ছোটবেলায় গ্রামে মেলা হলে আর কিছু কিনতাম বা না কিনতাম, একটা চরকি কেনা ছিলো অপরিহার্য। চার রঙা রঙিন কাগজ দিয়ে বড় একটি ফুল তৈরি করা। সেটা আবার লাগানো একটি লম্বা কাঠির মাথায়। কাঠির একমাথা হাতে ধরে অন্যদিকে লাগানো ফুলে একটু ফুঁ দিলেই হলো! এই যে তার ঘোরা শুরু, এর যেন আর শেষ নেই। ’‘মাঝে মাঝে কিছু ফেরিওয়ালাও আসতেন চরকি নিয়ে। শরতের শেষ বিকেলগুলোতে তখন চার-পাঁচ জন বন্ধু মিলে চরকি হাতে রাস্তায় দৌঁড়াতাম। প্রতিযোগিতা ছিলো কোন বন্ধুর হাতের চরকিটা বেশি দ্রুত ঘোরে। কিন্তু ঢাকায় তো এগুলোর আর দেখা পাওয়াই যায় না। শুধু পহেলা বৈশাখেই যা একটু। ’--শৈশবের স্মৃতি হাতড়ান হ্যাপী।
কথা হয় চরকির ফেরিওয়ালা ফারুক ইসলামের সঙ্গে, তবে নিজের ছবি তুলতে দিলেন না তিনি। বাংলানিউজকে বললেন, ‘গ্রামের শিশুদের শৈশবের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে এই চরকি। হ্যাপী আপুর মতো এমন হাজারো গল্প যেন গাঁথা রয়েছে। তবে শহরে তো এগুলো পাওয়াই যায় না। তাই ঘুরে ঘুরে দামি সব খেলনার ভিড়ে এটা কেউ একটু মনে করানোর চেষ্টা করি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
এইচএমএস/এইচএ/