কবিতার মতই অপরূপ গুলিয়াখালী সৈকতের সোনালি গোধূলি। অল্প কয়েকদিন আগে হলেও মনোরম পরিবেশে বিচটি এখনো অনেকের কাছেই অপরিচিত, তাই বেশ নিরিবিলি।
বরষার এক বিকেলে ক্যামরার চোখে ধরা পড়ে মায়াবতী এ বিচের সোনালি গোধূলি। বিচের এক পাশেই বয়ে গেছে খাল। সেই খালে নৌকা নিয়ে গৌধূলি বেলায় ভাটার অপেক্ষায় মাঝি। সমুদ্রের জলে পড়েছে সূর্যের রক্তিম আভা। জল আর আকাশ মিলেছে সোনালি রংয়ের ক্যানভাসে। এই বিচটি অন্য সব বিচ থেকে আলাদা। বিচ সম্পর্কিত ধারণা ভেঙে দেবে এর সৌন্দর্য। মাটির গঠন। এখানে বিস্তৃত সমভূমি নয়। বরং মাটির মাঝ দিয়ে খালের মতো এঁকেবেঁকে ঢুকে গেছে সমুদ্র। সবুজ ঘাসের ফাঁকে স্রোতের জল ঢুকে পড়া বিচটি মুগ্ধ করবে সবাইকে। গোধূলির আলোয় সমুদ্রের নীল জল। জলের সীমানা ফেরিয়ে ওপারে সন্দীপ হাতছানি দিয়ে ডাকে। সোনালি আভায় নিরব নিস্তব্ধ সমুদ্র সৈকত। বিচের স্বচ্ছ বালির উপর দাঁড়িয়ে গোধূলি বেলায় গল্প করতে করতে কিছুটা সময় ফেরিয়ে যাবে অজান্তেই। বিচের যাওয়ার আগে সঙ্গে করে নিতে পারেন ফুটবল। কিছুটা সময় খেলায় মেতে থাকতে পারেন। তবে জোয়ায়ে সময়টা জেনে রাখা ভাল, না হয় ডুবে মরার সম্ভাবনা আছে। নিরিবিলি হলেও বিচের অদূরেই দেখা মিলবে ছোট ছোট জাহাজ। এ জাহাজগুলো সাধারণত মাছ ধরার কাজেই ব্যবহার হয়ে থাকে। আবার এতে করে যাওয়া যাবে চট্টগ্রামের সন্দীপ উপজেলায়। বিচটিতে রয়েছে ম্যানগ্রোভ বন। বিচে যাওয়ার আগে পাবেন সুন্দর বন ভ্রমণের অনুভূতি। ভাগ্য ভালো হলে দেখা পেয়ে যেতে পারেন হরিণেরও। স্থানীয়রা সেরকমই জানালেন। তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা। আর কিছুক্ষ পরেই আসবে জোয়ার। জেলেদের জাল প্রস্তুত সমুদ্রের পাশে। জল স্বচ্ছ বালি ফেরিয়ে আসবে সবুজ দিগন্তে। নিরব নিঃস্তব্ধ বিচ যেন সোনালি আর নীল রঙয়ের ক্যানভাস। বিচে যাওয়ার আগেই চোখে পড়বে প্রকৃতির এমন আনিন্দ সৌন্দর্য।
যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে বাসে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে নেমে যেতে পারেন সীতাকুন্ড। সীতাকুন্ড বাজার থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় পশ্চিমে ৩ কিলোমিটার গেলেই এই বিচ। ভাড়ায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা একশ' থেকে দেড়শ' টাকা। ট্রেন আর বিমানে গেলে চট্টগ্রাম শহরে নেমে সীতাকুন্ড শহরে আসতে হবে। তারপর পূর্বের নির্দেশনা মতে যেতে হবে বিচে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
এএটি/