সম্প্রতি একজন ইউটিউব ব্যবহারকারী ড্রোন থেকে ধারণ করা গিগাফ্যাক্টরির একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যায়, বিশাল এই ভবনের বিস্ময়-জাগানো চিত্র।
জাপানি প্রতিষ্ঠান প্যানাসনিকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি সেল নির্মাণের লক্ষ্যে এই ফ্যাক্টরি নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয় ২০১৩ সালে। ২০১৪ সালে এই পরিকল্পনা অনুমোদন করে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২০ সালের মধ্যে পুরোপুরি ফ্যাক্টরিটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৩ হাজার একর ভূমির ওপর নির্মাণাধীন এই ফ্যাক্টরি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে মোট পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফ্যাক্টরির নির্মাণ কাজ শেষ হলে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে এতে। এছাড়া পরোক্ষভাবে ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে আশপাশের এলাকায়।
এই ফ্যাক্টরি পুরোপুরি সৌরবিদ্যুতে পরিচালিত হবে। তাই এর ছাদ বৃহদাকার সোলার প্যানেল দিয়ে আবৃত করা হবে।
টেসলার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এলন মাস্ক বলেন, ফ্যাক্টরির নির্মাণ কাজ এখনো ৩০ শতাংশ বাকি। নির্মাণ কাজ শেষে এটিই হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভবন।
যে পরিমাণ ভূমির ওপর এই ফ্যাক্টরি নির্মাণ হচ্ছে, তা নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কের চেয়েও তিনগুণ বড়।
২০১৮ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ৩৫ গিগাওয়াট আওয়ার বৈদ্যুতিক ব্যাটারি উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মতো ব্যস্ত শহরে বছরে মোট বিদ্যুৎ খরচ হয় ৫২ গিগাওয়াট আওয়ার।
বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলা ও নবায়নযোগ্য শক্তির সাশ্রয়ী ব্যবহারে টেসলার গিগাফ্যাক্টরি বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
এনএইচটি/এইচএ/