সিলেটে সুরমা নদীতে বিজড়িত শাহজালাল (র.) ঘাট। সিলেটে প্রকৃতির সান্নিধ্য মিলে সবুজ চা বাগানেও।
আগন্তকরা সিলেটের প্রাকৃতিক রূপ ও ঐতিহ্য ঘুরে ঘুরে দেখতে হয়। তবে স্বল্প সময়ে সব কিছু এক আঙিনায় দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে সিলেটের জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের আঙিনায় পুরো সিলেটের ইতিহাস ঐতিহ্য ও স্থাপনাকে মিনিয়েচার করে রাখা হচ্ছে। সিলেটকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এখানে। প্রায় চার লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য মিনিয়েচারে রয়েছে সিলেটের সুরমা নদী, সুরমার বুক চিরে বয়ে যাওয়া ক্বিন ব্রিজ, উচু নিচু টিলায় সজ্জিত শীতল পাটির সবুজ চা বাগান, শাহজালাল (র.) সিঁড়ি। সিলেটের দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি ১৯৪০ সালে সিলেটের প্রথম জেলা প্রশাসকের ব্যবহৃত গাড়িটিও দর্শনার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এসবের বাইরেও ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে ব্যাঙের ছাড়া সম্বলিত নান্দনিক বসার স্থান। যেনো ব্যাঙের ছাতা তলে আশ্রয় নেওয়া। রয়েছে পাহাড়ি ঝরনা।
যেনো এক আঙিনায় সিলেটের সব রূপ। সময় স্বল্পতায় নিয়ে কেউ সিলেটে ঘুরতে আসলে অন্তত, ডু মেরে পরখ করে যেতে পারেন এই সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করছেন চিত্রশিল্পী ইসমাইল গণি হিমন ও আলী দেলোয়ার। প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা ব্যয়ে এই সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
এএটি/