ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গল্প

অনুবাদ গল্প/শেষ পর্ব

দ্বিতীয় বেকারি হামলা | হারুকি মুরাকামি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
দ্বিতীয় বেকারি হামলা | হারুকি মুরাকামি ছবি: বাংলানিউজ

দ্বিতীয় বেকারি হামলা 
মূল: হারুকি মুরাকামি
অনুবাদ: মনজুর শামস

পূর্ব প্রকাশের পর…

‘আমরা ওই ম্যাকডোনাল্ডে হামলা চালাতে যাচ্ছি’, সে এমন শীতলভাবে বলল যেনো সে ঘোষণা করছে ডিনারে আমরা কী খাবো!
‘ম্যাকডোনাল্ড তো কোনো বেকারি নয়’, আমি তাকে মনে করিয়ে দিলাম।
‘এটা একটা বেকারির মতোই’, সে বললো।

‘কখনও কখনও তোমাকে আপোস করতেই হয়। চলো যাই। ’
আমি গাড়ি চালিয়ে ম্যাকডোনাল্ডের কাছে চলে এলাম এবং সেখানকার পার্কিং লটে গাড়ি পার্ক করলাম। সে কম্বল মোড়ানো শটগানটা আমার হাতে তুলে দিলো।
‘আমি জীবনে কখনও কোনো বন্দুকের গুলি ছুড়িনি’, আমি প্রতিবাদ করে বললাম।
‘তোমাকে এটি থেকে গুলি ছুড়তে হবে না। ঠিক আছে? অমি যা বলি তাই করো। আমরা সোজা হেঁটে ঢুকে যাবো, যখনই তারা বলবে, ‘ম্যাকডোনাল্ডে স্বাগত’, তখনই আমরা আমাদের মুখোশ পরে নেব। বুঝতে পেরেছো?’
‘অবশ্যই, কিন্তু...’
‘তখন তুমি তাদের মুখে বন্দুক বাগিয়ে ধরবে এবং সব কর্মচারী ও খদ্দেরদের এক জায়গায় জড়ো করবে। খুব দ্রুত। বাকিটা আমি করবো। ’
‘কিন্তু...’
‘তোমার কী মনে হয়; আমাদের কতোগুলো হ্যামবার্গার দরকার? ত্রিশটি?’
‘আমার অনুমান তাই। ’ একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমি শটগানটা নিলাম এবং কম্বলটা একটু উল্টে খুলে রাখলাম। জিনিসটা ছিলো একটি বালুর ব্যাগের মতোই ভারী এবং অন্ধকার রাতের মতো কালো।
‘আমাদের কি সত্যিই এটা করতে হবে?’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, অর্ধেকটা তাকে, অর্ধেকটা নিজেকে।
‘অবশ্যই আমাদের এটা করতে হবে। ’
কাউন্টারের পেছনে দাঁড়ানো মেয়েটি ম্যাকডোনাল্ডের হ্যাট পরে ফিক করে আমাকে একটি ম্যাকডোনাল্ড-হাসি উপহার দিলো এবং বললো, ‘ম্যাকডোনাল্ডে স্বাগত। ’ আমি ভাবতেই পারিনি ম্যাকডোনাল্ডে গভীর রাতে মেয়েরা কাজ করবে, সুতরাং তাকে দেখে আমি এক সেকেন্ডের জন্য থতমত খেয়ে গেলাম। নিজেকে ধাতস্থ করলাম এবং মুখোশটা পরে নিলাম। হঠাৎ মুখোশ পরা দু’জনের মুখোমুখি হয়ে মেয়েটি আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকলো।  
অবশ্যই, ম্যাকডোনাল্ডের আপ্যায়ন নির্দেশিকায় এই ধরনের পরিস্থিতিতে কী করতে হবে সে ব্যাপারে কিছুই লেখা নেই। ‘ম্যাকডোনাল্ডে স্বাগত’-এর পরের শব্দবন্ধটি সে সবে উচ্চারণ করতে শুরু করেছিল, কিন্তু তার মুখের কথাটা ওই অবস্থাতেই আটকে গেলো, তা আর বের হলো না। এমন অবস্থাতেও ভোরের আকাশে আধখানা চাঁদের মতো পেশাগত হাসিটা তার ঠোঁটের কোনায় লেগে রইলো।
আমি যতো তাড়াতাড়ি পারলাম শটগানটি কম্বলের মোড়ক থেকে বের করলাম এবং টেবিলগুলোর দিকে তা তাক করলাম, কিন্তু একমাত্র খদ্দের এক যুগল তরুণ-তরুণী, সম্ভবত ছাত্র তারা এবং তারা প্লাস্টিকের টেবিলে মাথা গুঁজে গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে। তাদের দু’টি মাথা এবং স্ট্রবেরি-মিল্ক-শেকের দু’টি কাপকে টেবিলের একই রেখায় নিরীক্ষামূলক অভিনব এক ভাস্কর্যের মতো লাগছে। তারা মড়ার মতো ঘুমাচ্ছে। ওরা আমাদের জন্য কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলেই মনে হচ্ছে, সুতরাং আমি শটগানটা ঘুরিয়ে কাউন্টারের দিকে তাক করলাম।
সব মিলিয়ে সেখানে তিনজন ম্যাকডোনাল্ড কর্মী ছিলো। কাউন্টারের মেয়েটি, ম্যানেজার- ডিম্বাকৃতি মলিন মুখের লোকটির বয়স বোধকরি বিশের কোটার শেষদিকে আর ছাত্র ধরনের একজন রান্নাঘরে- এ লোকটির ওপর হালকা ছায়া, তার মুখের ভাব বোঝা যাচ্ছে না। রেজিস্টারের পেছনে তারা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে গেলো, এমনভাবে আমার শটগানের নলের দিকে তাকিয়ে থাকলো পর্যটকেরা যেভাবে ইনকাদের কোনো কূপের দিকে উঁকি মেরে তাকিয়ে থাকে। কেউ চিৎকার করে উঠলো না এবং বিপজ্জনক কোনো নড়ানড়িওও করলো না কেউ। শটগানটা এতো ভারী ছিলো যে আমি ট্রিগারে আঙুল রেখে এটির নল রেজিস্টারের ওপর ভর দিয়ে রাখতে বাধ্য হলাম।
‘আমি তোমাদের টাকা দেবো’, ঘ্যাসঘ্যাসে গলায় ম্যানেজার বললো। ‘এগারোটার সময় কর্তৃপক্ষ ক্যাশের টাকা নিয়ে গেছে, সুতরাং খুব বেশি টাকা আমাদের কাছে নেই, কিন্তু তোমরা এর সবই নিয়ে নিতে পারো। আমাদের বীমা করা আছে। ’
‘সামনের শাটারটা নামাও এবং সাইনবোর্ডের আলো নিভিয়ে দাও’, আমার স্ত্রী বললো।
‘এক মিনিট অপেক্ষা করো’, ম্যানেজার বললো। ‘আমি তা করতে পারি না। অনুমতি ছাড়া যদি আমি বন্ধ করি তা হলে আমাকে দায়ী করা হবে। ’ 
আমার স্ত্রী ধীরে ধীরে তার হুকুমটা আওড়ালো। ম্যানেজারকে খুব বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল।
‘সে যা বলছে তা করাই আপনার জন্য ভালো হবে’, আমি তাকে হুমকি দিলাম।
সে একবার রেজিস্টারের ওপর ভর দিয়ে রাখা শটগানের নলের দিকে তাকালো, তারপর আমার স্ত্রীর দিকে তাকালো এবং তারপর আবারও শটগানটার দিকে তাকালো। এবার সে সাইনবোর্ডের আলো নিভিয়ে দিলো এবং ইলেকট্রিক প্যানেলে একটি সুইচ অফ করে শাটার নামিয়ে ফেললো। আমি তার দিকে নজর রাখলাম, ভয় ছিলো সে চুরির অ্যালার্ম বেল বাজিয়ে দিতে পারে, কিন্তু স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল ম্যাকডোনাল্ডে কোনো চুরির অ্যালার্ম নেই। হয়তো কাউকে হামলা করার মতো কোনো ঘটনা এ কোম্পানিতে কখনও ঘটেনি।

সামনের শাটারটা বন্ধ হওয়ার সময় এতো জোরে ঘটাং ঘটাং আওয়াজ করলো যেনো মনে হচ্ছিল কেউ খালি বালতিতে বেজবল ব্যাট দিয়ে পেটাচ্ছে, কিন্তু এই শব্দের ভেতরেও ওই তরুণ-তরুণী যুগল তাদের টেবিলে তখনও মেরে ঘুমাচ্ছিল। এই গভীর ঘুম সম্পর্কে বলতেই হচ্ছে- আমি অনেক বছরেও এমন কোনো কিছু দেখিনি।
‘ত্রিশটি বড় ম্যাক। বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য’, আমার স্ত্রী বললো।
‘আমাকে বরং তোমাদের টাকাগুলো দিতে দাও’, ম্যানেজার কাকুতি-মিনতি করে বললো। ‘আমি তোমাদের যা দরকার তার চেয়েও বেশি টাকা দেবো। তোমরা বাইরে কোথাও থেকে খাবার কিনে নিতে পারবে। এতে আমার হিসেব-নিকেশ গুবলেট হয়ে যাবে এবং...’
‘সে যা বলেছে সেটা করাই আপনার জন্য ভালো হবে’, আমি আবারও বললাম।
তারা তিনজনেই একসঙ্গে রান্নার জায়গায় ঢুকে গেলো এবং ত্রিশটি বড় ম্যাক তৈরি করতে শুরু করে দিলো। ছাত্রটি বার্গারগুলো গ্রিল করলো, ম্যানেজার সেগুলো বনরুটির ভেতর ভরলো এবং মেয়েটা সেগুলো গুছিয়ে প্যাকেট করছিল। একজনও কোনো কথা বললো না।

লাইন
আমি বড় একটি ফ্রিজের সঙ্গে হেলান দিয়ে তাওয়াটার দিকে শটগান তাক করে রাখলাম। তাওয়াটার উপরে মাংসের প্যাটিসগুলো এমনভাবে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে যেনো মনে হচ্ছে এগুলো বাদামি ফুটকি তুলে পলকা নাচের মুদ্রায় তেলে হিসহিস শব্দ তুলছে। গ্রিল হতে থাকা মাংসের মিষ্টি ঘ্রাণ আমার শরীরের প্রত্যেক সূক্ষ্ম রন্ধ্রে আণুবীক্ষণিক জীবাণুর মতো বেয়ে বেয়ে ঢুকে যেতে থাকলো, আমার রক্তের সঙ্গে মিশে যেতে থাকলো এবং শরীরের দূরতম প্রান্তে পৌঁছে যেতে থাকলো, এরপর আমার ক্ষুধার বদ্ধ গুহায় একসঙ্গে ঢুকে যেতে থাকলো এবং উঠে যেতে শুরু করলো এর গোলাপি দেয়াল বেয়ে।
লাইন

কাছেই সাদা মোড়কে সাজিয়ে রাখা বার্গার ঘ্রাণ ছড়াচ্ছিল। ভীষণ ইচ্ছে করছিল থাবা মেরে ধরে মোড়ক ছিঁড়ে এগুলো মুখে পুরে দিই, কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম না এই ধরনের কাজ-কারবার আবার আমাদের উদ্দেশ্যকে বরবাদ করে দেবে কিনা। আমাকে অপেক্ষা করতেই হচ্ছিল। রান্নার ওই গরম জায়গাটায় দাঁড়িয়ে স্কি মুখোশের নিচে আমি ঘামতে শুরু করেছিলাম।
ম্যাকডোনাল্ডের লোকেরা চোরা চোখে আমার শটগানের নলের দিকে তাকাচ্ছিল। আমি আমার বাঁ হাতের কনে আঙুল দিয়ে কান চুলকালাম। ঘাবড়ে গেলে সব সময়ই আমার কান চুলকাতে থাকে। আমার কানের ভেতরে আঙুল সেঁধিয়ে চুলকানোর তালে তালে শটগানের নলটা ওপর-নিচ করছিল, মনে হচ্ছিল এতে তারা ভড়কে যাচ্ছিল। কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিলো না, কারণ আমি সেফটি অন করে রেখেছিলাম, কিন্তু তারা তা জানতো না এবং আমিও তা তাদের বলতে যাচ্ছিলাম না।

আমার স্ত্রী তৈরি হয়ে হয়ে যাওয়া হ্যামবার্গারগুলো গুনলো এবং সেগুলো দু’টো ছোট শপিংব্যাগে রাখলো, প্রত্যেক ব্যাগে পনেরোটি করে।
‘তোমাদের এ কাজটি করতেই হলো কেন?’ মেয়েটি আমাকে জিজ্ঞেস করলো। ‘কেন তোমরা স্রেফ টাকাগুলো নিয়ে তোমাদের পছন্দমতো কিছু কিনে নিলে না? ত্রিশটি বড় ম্যাক খেলে কী এমন ভালো হবে তোমাদের?’
আমি মাথা ঝাঁকালাম।  
আমার স্ত্রী ব্যাখ্যা করে বললেঅ, ‘আমরা সত্যিই দুঃখিত। কিন্তু কোনো বেকারিই খোলা নেই। খোলা থাকলে আমরা একটা বেকারিতেই হামলা করতাম। ’
মনে হলো এ কথা শুনে তারা সন্তুষ্ট হয়েছে। কমপক্ষে তারা কোনো প্রশ্ন করলো না। এরপর আমার স্ত্রী মেয়েটিকে বড় দুই বোতল কোক দিতে বললো এবং তার দাম মিটিয়ে দিলো।
‘আমরা কেবল রুটি চুরি করি, আর কিছু না’ সে বললো। মাথা নোয়ানোর মতো এবং মাথা ঝাঁকানোর মতো জটিল এক ধরনের মাথা নেড়ে মেয়েটি তার কথায় সাড়া দিলো। মনে হচ্ছিল সে একই সঙ্গে পছন্দ এবং অপছন্দ দু’টোই প্রকাশ করতে চাচ্ছিল। আমার মনে হয়, তার ধারণা সম্পর্কে আমি কিছুটা ধারণা করতে পারছিলাম।
আমার স্ত্রী তার পকেট থেকে দড়ির দলা পাকানো একটা বল বের করলো- সব রকমের সরঞ্জামই সে নিয়ে এসেছিল এবং এমন দক্ষ হাতে তাদের বেঁধে ফেললো যেনো বোতাম সেলাই করছে। সে জিজ্ঞেস করলো, এই দড়িবাঁধায় তারা ব্যথা পাচ্ছে কিনা বা কেউ টয়লেটে যেতে চায় কিনা, কিন্তু তারা কেউ কোনো কথাই বললো না। আমি কম্বল দিয়ে আবারও শটগানটা মুড়ে নিলাম, সে শপিংব্যাগ দু’টো তুলে নিলো এবং আমরা দু’জনে বেরিয়ে গেলাম। খদ্দের দু’জন টেবিলে তখনও ঘুমাচ্ছিল, যেনো গভীর সমুদ্রের এক জোড়া মাছ। কীভাবে তাদের এমন গভীর ঘুম ভাঙতে পারে?
আধা ঘণ্টা ধরে আমরা গাড়ি চালালাম, এরপর একটি দালানের পাশে খালি একটি পার্কিং লট পেলাম এবং সেখানে ঢুকে পড়লাম। সেখানেই আমরা হ্যামবার্গার খেলাম এবং আমাদের কোক পান করলাম। আমি আমার পেটের গর্তে ছয়টি বড় ম্যাক চালান করলাম এবং সে খেলো চারটি। এরপর বিশটি বড় ম্যাক পড়ে রইলো পেছনের সিটে। আমাদের ক্ষুধা- সেই ক্ষুধা, যে ক্ষুধাকে মনে হচ্ছিল চিরদিনের জন্য বহাল হয়ে যেতে পারে- ভোরের আলো ফুটতেই তা হাওয়া হয়ে গেলো। সূর্যের প্রথম আলো দালানটির নোংরা দেয়ালকে লাল রঙে রাঙিয়ে দিলো এবং যন্ত্রণাদায়ক তীব্রতায় এটিকে ‘সনি বেটা’র বিশালাকৃতির এক বিজ্ঞাপন টাওয়ারের রূপ দিলো। শিগগিরই মহাসড়কের ট্রাকের টায়ারের তীক্ষ্ণ প্রলম্বিত ধ্বনি যোগ হলো পাখির কাকলির সঙ্গে। আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনীর রেডিওতে কাউবয় মিউজিক বাজানো হচ্ছিল। আমরা একটি সিগারেট ভাগাভাগি করে খেলাম। এরপর, সে তার মাথাটা রাখলো আমার কাঁধে।
‘এখনও বলছি, এর কি সত্যিই কোনো দরকার ছিলো?’ আমি জিজ্ঞেস করলাম।
‘অবশ্যই এর দরকার ছিলো!’ বলে একটি গভীর হাই তুলে সে আমার উপরে ঘুমিয়ে পড়লো। তাকে তখন একটা বিড়ালছানার মতোই নরম ও হালকা লাগছিল।

একাকী, আমি আমার নৌকার কিনারে ঝুঁকলাম এবং নিচে সাগরতলের দিকে তাকালাম। আগ্নেয়গিরিটা চলে গেছে। শান্ত সাগরতলে প্রতিফলিত হচ্ছিল আকাশের নীল। ছোট ছোট ঢেউগুলোকে মনে হচ্ছিল রেশমের পাজামার মতো মৃদুমন্দ হাওয়ায় তিরতিরিয়ে কাঁপছে- আছড়ে পড়ছে নৌকার পাশে। আর কিচ্ছুটি নেই।
নৌকার তলায় আমি আড়মোড়া ভাঙলাম এবং চোখ বন্ধ করলাম, অপেক্ষায় থাকলাম বাড়তে থাকা জোয়ারের- যা আমাকে আমার জায়গায় নিয়ে যাবে।

যোগাযোগ

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এসএনএস

** দ্বিতীয় বেকারি হামলা | হারুকি মুরাকামি/পর্ব-১​
** দ্বিতীয় বেকারি হামলা | হারুকি মুরাকামি/পর্ব-২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

গল্প এর সর্বশেষ