ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

শেখ জামালের ড্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
শেখ জামালের ড্র ফাইল ছবি

ফেডারেশন কাপের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে আজ মোহামেডানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। গোপালগঞ্জে ম্যাচটি ড্র হয়েছে ২-২ গোলে।

এই ড্রয়ের ফলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে শেখ জামালকে।  

এবারের আসরে ১১ দল নিয়ে তিন গ্রুপে খেলা হচ্ছে। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপ পরের রাউন্ডে যাবে। এছাড়া তৃতীয় স্থানে থাকা সেরা দুই দলও যাবে পরের রাউন্ডে।

একইদিনে মাঠে নেমেছিল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি এবং আজমপুর উত্তরা ক্লাব। সেই ম্যাচে ২-১ গোলে জয়ে পেয়েছে রহমতগঞ্জ। তিন ম্যাচে দুই জয় এক ড্র’য়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে গেছে মোহামেডান। দুই জয় এক হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে রহমতগঞ্জ।  

ম্যাচের দশম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করে শেখ জামাল। রায়হানের লম্বা থ্রো ডি বক্সে থাকা সতীর্থের হেডে ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। দশ মিনিট পর দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেছিল শেখ জামাল। সোলেমান সিল্লার কর্নেলুইস স্টুয়ার্ট এর ব্যাক হিল থেকে বল পান সোলেমান সিল্লা। তবে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেননি তিনি।

ম্যাচের ২৮তম মিনিটে আরিফের গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। সতীর্থের বাড়িয়ে দেয়া বল নিয়ে শেখ জামালের ডি-বক্সে ঢুকে যান আরিফ হোসেন। প্রায় জিরো ডিগ্রী অ্যাঙ্গেল থেকে বা পায়ের শটে নেয়ার পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটনের তেমন কিছুই করার ছিল না।

৩৫তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ এসেছিল শেখ জামালের সামনে। সোলেমান সিল্লার বাড়িয়ে দেয়া বল ডি-বক্সে পেয়ে যান সোহান গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে কর্নেলিয়া স্টুয়ার্টের গোলে সমতায় ফেরে শেখ জামাল। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি।  

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়ায় শেখ জামাল। ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে রাশেদুল মনির লং বল পান সোলেমান সিল্লা। বক্সের ভেতর তার ডান পায়ের শট ঠেকিয়ে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন।  

৬৪তম মিনিটে কর্নেলিয়া স্টুয়ার্টকে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে ফাউল করেন মোহামেডানের হাসান মুরাদ। স্টুয়ার্ট বল নিয়ে রজার এবং হাসান মুরাদকে ফাঁকি দিয়ে বল নিয়ে ছুটছিলেন তবে ডি বক্সের ঠিক বাইরে তার জার্সি ধরে টেনে আটকে দেন হাসান। ফ্রি-কিক পায় শেখ জামাল। তবে নদিরবেগের শট সহজেই রুখে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক।

স্রোতের বিপরীতে গোল হজম করে বসে শেখ জামাল। শাহরিয়ার ইমনকে উদ্দেশ্য করে লং বাড়ান সতীর্থ ডি-বক্সের বাইরে এসে সেই বল ক্লিয়ার করেন শেখ জামালের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ। তবে বল পেয়ে যান মোহামেডানের আশরাফুল হক আসিফ। হাফ লাইনের ঠিক সামনে থেকে উচু করে শট নেন আসিফ। ফাকা বারে বল জালে জড়িয়ে যায়। শেখ জামালের ভুলের সুযোগ পুরোটাই কাজে লাগান তিনি।  

৭৬তম মিনিটে সমতায় ফেরে শেখ জামাল। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে সোলেমান সিল্লার শটের কোনো জবাব ছিল না মোহামেডানের গোলরক্ষকের কাছে। এরপর একের পর এক আক্রমণ করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি শেখ জামাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।