ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

কিংস অ্যারেনায় সাফের প্রস্তুতি নেবেন জামালরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
কিংস অ্যারেনায় সাফের প্রস্তুতি নেবেন জামালরা ফাইল ছবি

জুনে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। আসরকে সামনে রেখে আগামী মাস থেকে শুরু হবে জামাল ভূঁইয়াদের প্রস্তুতি ক্যাম্প।

শুরুতে কাতারে এই ক্যাম্প আয়োজনের কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে আজ (৭ মে) বাফুফে ভবনে জাতীয় দল কমিটির সভা শেষে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় জামালদের সাফের প্রস্তুতি ক্যাম্প হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ।

জুনের চার তারিখ থেকে শুরু হবে ক্যাম্প। এরপর কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে গত মার্চে ফিফা উইন্ডোতে সিলেটে সিশেলসের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে হাভিয়ের কাবরেরার দল। প্রথমটিতে জিতলেও র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে পরের ম্যাচটি হারে বাংলাদেশ। জামালদের মূল লক্ষ্যই ছিল সাফের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে রাখা। আগামী ২১ জুন থেকে ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুরু হবে সাফ।

তাই প্রস্তুতির বিষয়ে নাবিল বলেন, ‘জুনের চার তারিখে আমাদের জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হবে। ১৫ তারিখে কম্বোডিয়ার সঙ্গে আমাদের একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকায় বেশ কিছুদিন আমাদের ক্যাম্প হবে। আমরা বসুন্ধরার সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিংস অ্যারেনায় আমাদের ক্যাম্প হবে। এর আশেপাশেই কোনও হোটেলে আমরা খেলোয়াড়দের থাকার ব্যবস্থা করবো। সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে। ’

নাবিল আরও বলেন, ‘আমাদের খেলা যেহেতু পাশের দেশে আর কম্বোডিয়ায় আমরা প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। তাই দূরত্ব বিচারে কোচ দেশেই ক্যাম্প করতে চাইছেন। আর কিংস অ্যারেনা অত্যন্ত ভালো একটি মাঠ এবং তাদের অবকাঠামো খুব ভালো আমরা সেখানেই ক্যাম্প করবো। এতে খেলোয়াড়দের দীর্ঘ ভ্রমন করতে হবে না। ’

এবারের সাফে বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। গতবার রাউন্ড রবিন লিগে খেলা হলেও এবার হবে গ্রুপ ভিত্তিক। দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ এই আসরে সবশেষ ২০০৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার   দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে জামালরা সর্বোচ্চ চেষ্টাই করছেন বলে জানিয়েছেন নাবিল।

তিনি বলেন, ‘এবারের সাফ আগের চেয়ে কঠিন হতে চলেছে। কুয়েত যেহেতু এখানে অংশগ্রহণ করছে। কুয়েত একটি শক্তিশালী দল। এছাড়াও ভারত, মালদ্বীপও শক্তিশালী। এজন্য কোচকে আমরা বলেছি, এটা এই বছরের মধ্যে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। পুরো দেশের নজর থাকবে। তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই আমাদের সাফে যেতে হবে। ’

সাফে বাংলাদেশ সবশেষ সেমিফাইনাল খেলেছে ২০১৩ সালে। নাবিল বলেন, ‘গত কয়েকবছর ধরেই আমরা সাফের সেমিফাইনালে যেতে পারিনি। গত সাফেও আমরা এক গোলের জন্য পরের রাউন্ডে যেতে পারিনি। তার আগেও অল্প ব্যবধানের জন্য আমরা গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারিনি। তেমন কিছু যেন না হয়, সে দিকে নজর দিয়েই আমরা কাজ করছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
এআর/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।