ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

সৌদি আরবে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত বেনজেমা

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৩
সৌদি আরবে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত বেনজেমা

ফর্মের চূড়ায় থাকা অবস্থায় রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল-ইত্তিহাদে পাড়ি জমিয়েছেন করিম বেনজেমা। বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম বড় তারকাকে পেয়ে খুশির জোয়ারে ভাসছে সৌদি প্রো লিগের চ্যাম্পিয়নরা।

ক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে যেভাবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে, তা ঠিক রাজকীয় বললেও কম বলা হবে।  

তিন বছরের চুক্তিতে ১৬৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে আল ইত্তিহাদে যোগ দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকে মূলত বেনজেমা জ্বরে কাঁপছে সৌদি আরবের শহর জেদ্দা। গতকাল আল-ইত্তিহাদের সঙ্গে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন বেনজেমা। এ উপলক্ষে তাকে কড়া নিরাপত্তা দিয়ে সৌদি আরবের বিলাসবহুল এক রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি পরিয়ে দেওয়া হয় তার ছবি সম্বলিত উত্তরীয়।  

চুক্তি স্বাক্ষরের পর কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে বেনজেমাকে ভক্তদের সামনে পরিচয় করিয়ে দেয় আল-ইত্তিহাদ। সদ্য শেষ হওয়া সৌদি প্রো লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ক্লাবটির স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো সমর্থক এসময় তুমুল করতালির পাশাপাশি তার নামে স্লোগান দিতে থাকেআলোকোজ্জ্বল মঞ্চে উঠার পর ব্যালন ডি'অর জয়ীকে দেওয়া হয় সম্মানসূচক ট্রফিও।  ক্লাবের জার্সি পরা বেনজেমা এসময় সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে অভিবাদনের জবাব দেন। বুকে হাত রেখে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি।  

স্টেডিয়াম ছেড়ে বেনজেমা যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন হাজারো সমর্থক ফরাসি স্ট্রাইকারকে উদ্দেশ্য করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকে এবং হাজারো ফোনের ফ্ল্যাশ গ্যালারি আলোকিত করে রাখে। এমন অভ্যর্থনা পেয়ে আবেগে আপ্লুত বেনজেমা পরে টুইটারে লিখেছেন, 'হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে জেদ্দা তোমাকে ধন্যবাদ। রাতটা আমার জন্য এতটাই বিশেষ যে কোনোদিন ভুলবো না। '  

অভ্যর্থনা শেষে আল-ইত্তিহাদের অফিসিয়াল মিডিয়াতে সাক্ষাৎকার দেন বেনজেমা। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ধর্মীয় কারণেই সৌদি আরবে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বেনজেমার যে ফর্ম তাতে ইউরোপের অন্য ক্লাবেও যেতে পারতেন, কিন্তু সৌদি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে বেনজেমা বলেন, ‘কেন সৌদি আরব? কারণ এটি একটি মুসলিম দেশ। আমি মুসলিম এবং সবসময় একটি মুসলিম দেশে থাকতে চেয়েছিলাম। ’

মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষদের তীর্থস্থান হলো সৌদি আরব। প্রতি বছর লাখ লাখ মুসলিম হজ করতে আসেন পবিত্র মক্কা নগরীতে। খেলাধুলার পাশাপাশি ধর্মের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে বেনজেমা। একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন সবসময়। তাই সৌদি আরবের মতো দেশে থাকাটা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বেনজেমা বলেন, ‘এটি একটি মুসলিম দেশ যা ব্যয়বহুল ও সুন্দর। আমি এখানেই থাকতে চাই। একটি মুসলিম দেশে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ যেখানে আমি মনে করি লোকে আমাকে ভালোবাসবে। একটা নতুন জীবন দেবে। আমি আরবি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে চাই। সৌদি আরবে থাকতে পেরে আমি ভাগ্যবান, কারণ মক্কা খুব কাছে। আমি বিশ্বাস করি, এটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২৩
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।