ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

টাইব্রেকারে কপাল পুড়ল বাংলাদেশের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
টাইব্রেকারে কপাল পুড়ল বাংলাদেশের

ম্যাচের আগে বাংলাদেশ নারী দলের নতুন কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু জানিয়েছিলেন প্রথম ম্যাচের তুলনায় দ্বিতীয় ম্যাচে গোছালো ফুটবল খেলতে দেখা যাবে দলকে। তবে কথার সঙ্গে কাজে খুব একটা মিল পাওয়া গেল না।

নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচের ফিফা ফ্রেন্ডলি সিরিজের শেষ ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে সিরিজ হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ গোলের জয় পায় নেপাল।  

প্রথম ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে শিউলি আজিম এবং মারিয়া মান্ডা গোল করতে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে নেপালের পক্ষে পেনাল্টি মিস করেন দলের বদলি গোলরক্ষক অঞ্জনা রানা মাগার। নেপালের হয়ে গোল করেন সাবিত্রা ভাণ্ডারী, হীরা কুমারী, দীপা সাই এবং আনীতা। বাংলাদেশের হয়ে পেনাল্টি থেকে স্কোর করেন সামসুন্নাহার এবং মনিকা চাকমা।

ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। ছোট করে সাবিনার উদ্দেশ্যে পাস দেন মনিকা। সাবিনার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান নেপালের গোলরক্ষক আনজিলা তুমবাপো সুবা। ফিরতি বলে জটলা থেকে গোল করার চেষ্টা করলেও অফ সাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।  

ষষ্ঠ মিনিটে নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারির শট ক্রস বারের উপর দিয়ে চলে যায়।

৩৬ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মারিয়া মান্ডা। নেপালের তিন ডিফেন্ডারকের কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত নেপালের ডিফেন্ডারের ট্যাকলে বল হারান তিনি। ৪৩ মিনিটে বাংলাদেশের ভুল পাসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যান নেপালের সাবিত্রা ভাণ্ডারী। তবে তার শট সহজেই তালুবন্দী করেন গোলরক্ষক রূপনা চাকমা। পরের মিনিটেই সাবিত্রার আরেকটি শট ফিরিয়ে দেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তিন পরিবর্তন আনা হয় বাংলাদেশের স্কোয়াডে। সানজিদা আক্তার, কৃষ্ণা রানী, তহুরা খাতুনকে উঠিয়ে নেয়া হয়। তাদের পরিবর্তে মাঠে নামেন ঋতুপর্ণা চাকমা, শাহেদা আক্তার রিপা এবং মাতসুসিমা সুমাইয়া। তিন বদলি নিয়ে খেলার গতিতে কিছুটা পরিবর্তন আসে। বাংলাদেশের আক্রমণে ধার বাড়ে। তবে গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না তারা।

ম্যাচ যখন নিশ্চিত টাইব্রেকারের দিকে এগিয়ে যচ্ছিল তখনই গোলরক্ষক পরিবর্তন করে নেপাল। আনজিলাকে উঠিয়ে অঞ্জনা রানা মাগারকে মাঠে নামান নেপাল কোচ রাজ থাপা।

বারবারই বাংলাদেশের আক্রমণগুলো নেপালের বক্সের কাছে যেয়ে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল। কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের দায়িত্ব ছাড়ার পর এখনো নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেনি বাংলাদেশ নারী দল তা সুস্পষ্ট।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
এআর/এএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।