ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

শোক-শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (স্পোর্টস) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
শোক-শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় জাতি তাকে স্মরণ করেছে। জাতির জন্য শোকের এই দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করেছে দেশের শীর্ষ ফুটবল ক্লাব লে: শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড।

১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে (১৫ই আগস্ট) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সেই শোকাবহ দিনকে স্মরণ করে আজ দিনব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দিনের শুরুতে সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন খতম ও ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে নিহত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিল আয়োজন হয়।

এরপর সকাল ১০টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারবর্গের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ১১টায় শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করা হয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা লে: শেখ জামালের উদ্দেশে। সকাল সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। বাদ যোহর ক্লাব প্রাঙ্গনে দোয়া মাহফিল ও এতিমখানায় খাবার বিতরণ করা হয়।  

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মঞ্জুর কাদের, নির্বাহী পরিচালক নজিব আহমেদ, পরিচালক জহির আহমেদ চৌধুরী স্বপন, ক্লাব সেক্রেটারি মেহরাব আলম চৌধুরী ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের শীর্ষ কর্মকর্তা, খেলোয়াড় ও সমর্থকবৃন্দ।  

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এদিন জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন পুত্র- বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ১০ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, একমাত্র সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, কৃষকনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, যুবনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বেবী সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, সাংবাদিক শহীদ সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আব্দুল নঈম খান রিন্টুসহ পরিবারের ১৮ সদস্যকে ঘৃণ্য ঘাতকরা এ দিনে হত্যা করে।  

এ দিন খুনিদের হাতে আরও নিহত হন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল এবং কর্তব্যরত পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই সিদ্দিকুর রহমান। ঘাতকদের কামানের গোলার আঘাতে মোহাম্মদপুরে একটি পরিবারের বেশ কয়েকজন হতাহত হন। সে সময় দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।