আসন্ন বাফুফে নির্বাচনে লড়বেন না বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সেই খবরের একদিন পরই বেশ ঘটা করে সভাপতি পদে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তরফদার রুহুল আমিন।
সিদ্ধান্ত বদলে ফেলা প্রসঙ্গে তরফদার বলেন, ‘আমরা তো আসলে সবাইকেই চাই। ফুটবল ফেডারেশন এমন একটা জায়গা, এখানে নেওয়ার কিছুই নেই, বরং দেওয়ার জায়গা। এখানে যারাই আসবেন, সবাই ফুটবলের উন্নতির জন্য কাজ করবেন। ফুটবলের উন্নতির জন্য ও বৃহত্তর স্বার্থে সবকিছু বিবেচনা করে আমি ও আমার সঙ্গে যারা আছেন, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাবিথ আউয়ালকে সভাপতি হিসেবে সমর্থন দেওয়ার। ’
’২০ অক্টোবরের মধ্যে একটা প্যানেল আমরা তৈরি করব। এ ব্যাপারে আমাদের আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে। সেটা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। ’
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে তরফদারের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরুল হাসান। বাফুফের বর্তমান কমিটিতে সবচেয়ে সক্রিয় তিনি। তোপের মুখে আব্দুস সালাম মুর্শেদী পদত্যাগ করার পর পেশাদার লিগ ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও অর্থ কমিটি একসঙ্গে সামলাচ্ছেন আধুনিক ঘরানার এই সংগঠক।
ইমরুলকে নিয়ে অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি তরফদার। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না। ইমরুল সাহেব ভেতরে থাকুক বা বাইরে থাকুক উনি কিন্তু ফুটবলের লোক। আমি ভেতরে থাকি বা বাইরে থাকি আমিও ফুটবলের লোক। ’
কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তরফদারের বার্তা, ‘এই ফেডারেশনে যারা একটানা কাজ করেছে। দুএকজন বাদে তাদের নতুন কমিটিতে না থাকা উচিত। কাউন্সিলরদের বলব আপনারা দেখেশুনে নির্বাচিত করেন। যারা ফুটবলকে ওপর থেকে নিচে নামিয়ে ফেলেছে, এদেরকে আপনারা নির্বাচিত করিয়েন না। যারা ভালো কাজ করবে তাদেরকে নির্বাচিত করেন। ফুটবল বাঙালির আবেগের জায়গা। আমাদের সকলের পক্ষ থেকে কাউন্সিলরদের অনুরোধ জানাই, এই আবেগ নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি না খেলতে পারে। ’
‘বাইরে থেকেও কিন্তু ফুটবলের জন্য কাজ করা যায়। ফুটবলের উন্নতি নিয়ে সবাই কাজ করে যাচ্ছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে জেলা ফুটবল অ্যাসোয়েসিয়েশন করেছি। ফুটবল ফেডারেশনের কোনো পদে না থেকে সারা বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে কাজ করেছি আমরা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
এএইচএস