ঢাকা: শুরুর মতো শেষটাও ছিল নাটকীয়। মাত্র ৩১ সেকেন্ডে ঘানার জালে বল পাঠিয়ে নাটকের সূচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক ডাম্পসি।
একমাত্র গোলে এগিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের জালে খেলার ৮২ মিনিটের মাথায় ঘানার আন্দ্রে আইয়ু গোল দিয়ে দলকে সমতায় ফেরান। তবে মাত্র চার মিনিটের মাথায় জন ব্রুকসের দুর্দান্ত গোলে ফের এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। আর তাতেই ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পায় যুক্তরাষ্ট্র।
প্রথমার্ধে গোল হজম করা ঘানা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে। মাত্র ১২ মিনিটে সুযোগও পায়। যদি না মিডফিল্ডার আতসু অফসাইডের ফাঁদে পা না দিতেন। তবে ১৯ মিনিটের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের আল্টিডোরের আক্রমণ ঘানার বোয়ে ঠেকিয়ে না দিলে প্রথমার্ধেই দ্বিতীয় গোলের স্বাদ পেয়ে যেতো যুক্তরাষ্ট্র।
অনেকটা বেপোরোয়া খেলায় ৩০ মিনিটের মাথায় ঘানার রাবিউকে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দিয়ে সর্তক করেন রেফারি জোনাস এরিকসন।
৩২ মিনিটে ঘানার একটি আক্রমণ রুখে দেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক হাওয়ার্ড। ৪১ মিনিটি যুক্তরাষ্ট্রের সংঘবদ্ধ আক্রমণ শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হলে আরও একবার পার পায় ঘানা।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছুটা বাক্য বিনিময় হয়। তবে রেফারির মধ্যস্থতায় তা মিটে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রকে কিছুটা রক্ষণাত্মক ভূমিকায় খেলতে দেখা যায়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আক্রমণাত্মক হয় ঘানা। চলতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। তাতেও গোলের দেখা পায়নি ঘানা।
৪৬ মিনিটের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের বেসলারকে উঠিয়ে ব্রুকসকে নামানো হয়। ৫৫ ও ৫৮ মিনিটে আন্দ্রে গায়ানের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে ১-১ এ ড্র করতে পারতো ঘানা।
৫৯ মিনিটের মাথায় জে. আইয়ুকে উঠিয়ে নামানো হয় প্রিন্সকে। ৬৫ মিনিটে গোলপেস্টে লক্ষ্য করে প্রিন্সের একটি শট আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলকিপার হাওয়ার্ড।
সোমবারের এ ম্যাচের আগে দুই বারের দল দুটির দুইবারের দেখায় দুটিতেই ২-১ গোলে জয় পায় ঘানা। এ জয়ের মাধ্যমে প্রতিশোধ নিল যুক্তরাষ্ট্র।
পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও কোনো ধরনের ছাড় দিতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র। দলে রয়েছেন অ্যটাকিং মিডফিল্ডার ক্লিন্ট ডাম্পসি। আর প্রেরণা হিসেবে রয়েছেন কোচ ক্লিন্সম্যান।
২০১০ বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ছোট দলের বড় তারকা বনে যান ঘানার সেন্টার ফরোয়ার্ড আসামোয়া জিয়ান। তাই এবারও ‘ব্ল্যাক স্টার’দের ভরসা এই জিয়ান।
২০১০ এর কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নেওয়া ঘানা ২০০৬ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়ে। অন্যদিকে ১৯৩০ সালে সেমিফাইনালে উঠলেও ২০০২ সালের আগে বিশ্বকাপে উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য নেই যুক্তরাষ্ট্রের। ২০০২ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ওঠে দলটি। ৪-৪-২ ফরমেটে খেলছে দলটি।
ঘানা একাদশ: কোয়ারাসি (গোলরক্ষক), জিয়ান, ওপারে, আতসু, আন্দ্রে আইয়ু, মুনতারি, জে. আইয়ু, রাবিউ, মেনসা, আসামোয়া ও বোয়ে।
কোচ: আকওয়াসি আপিয়াহ।
যুক্তরাষ্ট্র একাদশ: টিম হাওয়ার্ড (গোলরক্ষক), ব্রাডলি, বিসলার, বিসলে, ডাম্পসি (অধিনায়ক), বেদোয়া, জোন্স, বেকারম্যান, আল্টিডোর, ক্যামেরুন এবং জনসন। ৪-২-৩-১ ফরমেটে খেলছে তারা।
কোচ: ইর্য়ুগেন ক্লিন্সম্যান।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪/আপডেট: ০৬০০ ঘণ্টা