ঢাকা: এর আগে দু’দুবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল দল দু’টি। দু’বারই যুক্তরাষ্ট্রকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ঘানা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় নাতালের এস্তাদিও দাস দুনাস স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় চরম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠা দুই দল।
ম্যাচের শুরুতেই চমকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক ক্লিন্ট ডাম্পসি। মাত্র ৩১ সেকেন্ডের মাথায় সতীর্থ জার্মেইন জোনসের পাসে ডি বক্সের বাম পাশ থেকে বাম পায়ের শটে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের ডান কোণের নিচ দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি।
প্রথমার্ধে এই একটি গোলে এগিয়ে থাকলেও বেশ ক’বার আক্রমণ ও গোলপোস্টে শট নেন যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড়রা। পাল্টা আক্রমণ চালাতে থাকে গোল শোধে মরিয়া ঘানাও। তবে, আর কেউই কোনো গোলের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে গোল শোধে মরিয়া ঘানার আক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাল্টা আক্রমণ বাড়াতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কিছুতেই যেন প্রতিপক্ষের গোলপোস্ট খুঁজে পাচ্ছিল না বল।
গোলের নেশায় উন্মত্ত হয়ে ওঠা ঘানা ৮২ মিনিটের মাথায় দেখা পায় কাঙ্ক্ষিত গোলের। আন্দ্রে আইয়ু যুক্তরাষ্ট্রের জালে বল পাঠিয়ে সমতায় ফেরান ঘানাকে। ওই গোলের পর তিন মিনিট পর্যন্ত মনে হচ্ছিল ঘানা বুঝি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিই ঘটাতে যাচ্ছে।
তবে, সে আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেন মার্কিন প্লেমেকার জন ব্রুকস। আইয়ুর গোলের মাত্র চার মিনিটের মাথায় হেড থেকে দুর্দান্ত গোলে দলকে ফের এগিয়ে নেন জন ব্রুকস।
তার গোলেই শেষ পর্যন্ত ‘ঘানাশাপ’ মুছতে সমর্থ হয় যুক্তরাষ্ট্র। গড়ে নতুন ইতিহাস। ডাম্পসি-ব্রুকসরা ঘানার ওপর জমে থাকা ক্ষোভের শোধ নিয়েছেনও বলা চলে।
২০০৬ আর ২০১০ বিশ্বকাপে না পারলেও ২০১৪ বিশ্বকাপে এসে যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড়রা ‘ঘানাশাপ’ মুছে এখন বলতেই পারেন, নতুন ইতিহাসে লিখতে এসেছি, একেবারে নতুন, সাফল্যের ইতিহাস।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৯ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪