ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ব্রাজিলের হিরো

শামীম হোসেন, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৪
ব্রাজিলের হিরো ছবি: সংগৃহীত

জয়ের নায়ক না হয়ে ভিলেনও হতে পারতেন তিনি। অতীতে এমন অনেক রেকর্ডই রয়েছে গোলরক্ষকদের।

কিন্তু না, তিনি প্রমাণ করলেন নায়ক কখনো ভিলেন হয়না। আত্মবিশ্বাসই তাকে নায়ক বানিয়েছে, আর ব্রাজিলকে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার টিকিট দিয়েছে। জুলিও সিজারই হলেন ব্রাজিল-চিলি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের জয়ের নায়ক।

শ্বাসরুদ্ধকর এ ম্যাচে অশ্রুসিক্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেন নেইমার-সিজার-সিলভা বাহিনী। খেলার ফলাফল পেতে যদিও নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে টাইব্রেকার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৩-২ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে এবারের বিশ্বকাপের শিরোপার অন্যতম দাবিদার স্বাগতিক ব্রাজিল।

নকআউট পর্বের এ ম্যাচের ব্রাজিলের জয়ের নায়ক গোলরক্ষক জুলিও সিজার স্বীকৃতি হিসেবে ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটাও পেয়েছেন। অবশ্য আরেকটি নাম না নিলেই নয়, তিনি হলেন পোস্টার বয় নেইমার। টাইব্রেকারে তার শেষ শটটাও ব্রাজিলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।

জয়ের পার নেইমার, সিলভা থেকে শুরু করে কোচ স্কলারিকেও আবেগে অশ্রুসিক্ত হতে দেখা যায়। মূলত এমন মুহূর্তে আবেগ ধরে রাখা যায় না। চোখের জলেই সেই আনন্দঘন ক্ষণ উদযাপন করতে হয়।

নির্ধারিত সময়ে খেলার ৫১ ভাগ বল চিলির দখলে থাকলেও গোলের সুযোগ বেশি মিস করেছে ব্রাজিল। এ জয়ের ফলে ব্রাজিলের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হলো। আর কোয়ার্টার ফাইনালে ৪ জুলাই ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে কলম্বিয়া।

অবশ্য টাইব্রেকার টাইমে যখন সবাই অপেক্ষা করছিলো, ব্রাজিলের গোলরক্ষক জুলিও সিজার তার টিমমেটদের বলছিলেন- ‘আমিই হবো এ ম্যাচের হিরো’- বর কথা জানালেন ব্রাজিল দলপতি থিয়াগো সিলভা।

নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতা থাকার পর টাইব্রেকারে মিরিসিও পিনিল্লা এবং অ্যালেক্সিস সানচেজ শট ঠেকিয়ে ব্রাজিলকে ৩-২ জয় এনে দেন দিয়ে সত্যি সত্যি বিশ্বের কোটি ব্রাজিল ভক্তের কাছে নায়ক বনে যান জুলিও সিজার।

অনেকটা আত্মবিশ্ব‍াস নিয়ে জুলিও সিজার তার সতীর্থদের বলেন- অন্তত তিনটা শট ঠেকিয়ে দিবে। তিনটা না পালেও দুইটা শট ঠেকিয়ে দিয়ে অশ্রুজলে ভাসিয়ে সবাইকে জয়ের স্বাদ দিলেন।

ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুইজ গুস্তাভো বলেন, টাইব্রেকারে যে কোনো দলই জয়ী হওয়ার সুযোগ থাকে। চিলির দ্বিতীয় শটটি গোলপোস্টে লেগে মিস হওয়ার পর দল কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলো।

সিলভা বলেন, বেলো হরিজন্তে শহরের মিনেইরাও স্টেডিয়ামে দর্শকদের চাপে থেকে খেলাটা যদিও অনেক কঠিন, তবুও আমরা সেরাটা খেলার চেষ্টা করেছি।
 
তিনি একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, প্রতিটি শটের সময় অনেক চিন্তা মাথায় আসতেছিলো, মনে হচ্ছিলো লাখো ব্রাজিলিয়ান ভক্তের স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে! কিন্তু এ চিন্তা  থেকেই শক্তি পেয়েছি, জানি এটা কঠিন থেকেও কঠিন। আমরা সেই স্বপ্নে জয় এনে দিয়ে ব্রাজিলিয়ানদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পেরেছি।

এটা আমাদের জন্য নতুন জীবন। চিলি অনেক ভাল দল, কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছিলাম আগেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আমরা সংগঠিত এবং স্বাধীন-যোগ করলেন সিলভা।

এখন দেখার বিষয় কোয়ার্টার কলম্বিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনারের টিকিট নিশ্চিত করতে পারে কিনা স্বাগতিক ব্রাজিল।

 বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।