ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ব্রাজিলেই কুলিং ব্রেক, কাতারে কী হবে!

ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৪
ব্রাজিলেই কুলিং ব্রেক, কাতারে কী হবে!

ঢাকা: বিশ্বকাপ ইতিহাসে নেদারল্যান্ড-মেক্সিকো ম্যাচে যোগ হলো আরেকটি নতুন নিয়ম। অতিরিক্ত গরমের হাত থেকে সাময়িক পরিত্রাণ পেতে ম্যাচের মাঝখানে দেওয়া হলো দু’বার কুলিং ব্রেক।



এস্তাডিও ক্যাসেলাও’র ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এ ছাড়া বিকল্প ছিল না পর্তুগিজ রেফারি পেড্রো প্রেয়েনচার। ম্যাচের ৩০ ও ৭৫ মিনিটে ৩ মিনিটের কুলিং ব্রেক দেন তিনি। এসময় খেলোয়াড়রা পানি খেয়ে, গা ভিজিয়ে ঠান্ডা করেন নিজেদের। লাতিন আমেরিকার দেশগুলো এ আবহাওয়া কিছুটা অভ্যস্ত হলেও ইউরোপিয়ানদের জন্য তা বিষফোঁড়া।

অতিরিক্ত গরমে দর্শকদেরও দেখা গেছে নিজের আসন ছেড়ে ছায়া খুঁজতে। ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রায় যখন খেলোয়াড় দর্শকদের নাভিশ্বাস তখন সবাই চিন্তিত ২০২২ সালে কাতারে কীভাবে খেলা হবে তা নিয়ে। কারণ কাতারে তাপমাত্রা সবসময়ই ৪৫ ডিগ্রি বা তার বেশি থাকে। কখনো পৌঁছায় ৫৩ তে।

ফিফার নিয়ম অনুযায়ী ৩২ বা তার বেশি ডিগ্রি তাপমাত্রায় রেফারি কুলিং ব্রেক দিতে পারবেন। আর এই নিয়ম বিশ্বকাপ প্রথম দেখল মেক্সিকো-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে। আরও একটি ঘটনা ঘটেছে কুলিং ব্রেকের সৌজন্যে। কোচরা এই সুযোগে খেলার ধরন দেখে বাতলে দিয়েছেন নতুন পরিকল্পনা। আর অতিরিক্ত সময় পাওয়া গেছে ৬ মিনিট।

ডাচ কোচ ফল গালের মতে, ৭৫ মিনিটের কুলিং ব্রেকের সময় তার দেওয়া নতুন পরিকল্পনায় জয়ী হয়েছে তার দল। প্রথমে সান্তোসের দেওয়া গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডাচরা।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন এই কোচ বলেন, প্রথম ব্রেকে আমি দলকে ৪-৩-৩ এ লেখাই এবং অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করি। পরে আমি পরিকল্পনা বি প্রয়োগ করি। দ্বিতীয় কুলিং ব্রেকে এটা ছিল আমার নেওয়া অন্যরকম সুবিধা।

নতুন এ নিম অনুযায়ী রেফারিই ঠিক করবেন কখন খেলোয়াড়দের কুলিং ব্রেক প্রয়োজন। ২০২২ সালে সেপ্টেম্বরে কাতারের তাপমাত্রা ৫০ থেকে ৫৩ ডিগ্রিতে পৌঁছায়। এই তাপমাত্রা খেলোয়াড়-দর্শক সবার জন্য অসহনীয়। যদি শীতে কাতার বিশ্বকাপ টেনে নেওয়া হয় তাহলেই কেবল ২০-৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব।
গতকালের ম্যাচের আগে ফন গাল সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ছিলেন আবহাওয়া নিয়ে। তিনি বলেন, খেলার মধ্যে পানি খাওয়া ও গা ভিজিয়ে নেওয়া আমাদের জন্য এই গরমে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রতিটি খেলোয়াড় পানিশূন্যতায় ভুগবে। কেউ কেউ খেলার সময় চার লিটার পর্যন্ত ঝরাবে। যা তাদের ওজনও কমাবে চার কেজি!

৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রায় যদি এ অবস্থা হয় তাহলে ৪৫-৫৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাতার বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের কি অবস্থা হবে সেটা এখন সবার চিন্তার বিষয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।