ঢাকা: ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজির মুখোমুখি হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি। শক্তির বিচারে কেউ কারো চেয়ে কম নয়।
বুধবার (৬ এপ্রিল) প্যারিসের স্টেডিয়ামে শেষ আটের প্রথম লেগের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ১টায় পিএসজি-ম্যানসিটি হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে। একই সময়ে অপর ম্যাচে জার্মানির উলফসবুর্গের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। ইউক্রেনের ডায়নামো কিয়েভ বাধা ফেরিয়ে ম্যানসিটি ও চেলসিকে হারিয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করে পিএসজি। দু’দলেই তারকা খেলোয়াড়দের কমতি নেই। সিটিজেনদের হয়ে একাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন আর্জেন্টাইন তারকা সার্জিও আগুয়েরো। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ দলে রয়েছেন তারই স্বদেশী অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। এর বাইরেও আরো অনেকেই আছেন যারা মুহূর্তের মধ্যেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। সব মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের অপেক্ষায় ফুটবল ভক্তরা। পিএসজির মুখোমুখি হওয়ার আগে ইনজুরি সমস্যা ম্যানসিটি কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানির সঙ্গে গোলরক্ষক জো হার্ট, রাহিম স্টার্লিং ও ইয়া ইয়া তোরে ইনজুরিতে ভুগছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তারা খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
গত দু’টি আসরেই বার্সেলোনার বিপক্ষে হেরে নকআউট পর্ব (শেষ ষোলো) থেকে বিদায় নেয় ম্যানসিটি। এবার অবশ্য ইংলিশ লিগের ফর্মটা চ্যাম্পিয়নস লিগে টেনে আনে সিটিজেনরা। এবার তাদের সামনে সেমিফাইনাল মিশন। অন্যদিকে, ফ্রেঞ্চ লিগ নিশ্চিত করা পিএসজিকে এবারের ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরের অন্যতম ফেভারিট ভাবা হচ্ছে। গতবার বার্সার কাছে হেরেই কোয়ার্টারে থেমে যায় ফ্রেঞ্চ জায়ান্টদের চ্যাম্পিয়নস লিগ স্বপ্ন। ২০১১ সালে কাতারের ধনকুবের মালিকানায় আসার পর পিএসজির সামনে এবার সেমি নিশ্চিতের সবচেয়ে সেরা সুযোগ।
এ ম্যাচটি জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের জন্য মাইলফলক ছোঁয়ার উপলক্ষ। আর মাত্র একটি গোল করলেই সাবেক পর্তুগিজ স্ট্রাইকার পাওলেতার রেকর্ড ৭৮ গোলের রেকর্ড ভেঙে পার্ক ডেস প্রিন্সেসে (পিএসজির হোম ভেন্যু) সর্বোচ্চ গোলস্কোরার (সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে) হবেন সুইডিশ তারকা। ইউরোপিয়ান ফুটবলে সবশেষ ২০০৮ সালে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি ও ম্যানসিটি। অবশ্য, কেউই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি। উয়েফা কাপের (উয়েফা ইউরোপা লিগ) গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্রতে নিষ্পত্তি হয়।
কিছু পরিসংখ্যান:
* প্যারিসে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় কোনো ইংলিশ ক্লাব ছয় ম্যাচের মধ্যে একবারই পিএসজির বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পায়। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে হোসে মরিনহোর চেলসি প্যারিস জয় (৩-০) করেছিল।
* চ্যাম্পিয়নস লিগে লিগ ওয়ান ও প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবগুলোর মধ্যে শেষ তিনবারের দেখায় প্রতিবারই ইংলিশ প্রতিপক্ষকে দুঃস্বপ্ন উপহায় দেয় ফ্রেঞ্চ টিম।
* মর্যাদাপূর্ণ এ আসরে পিএসজি তাদের শেষ তিনবারের মিশনেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে তাদের সবশেষ (একমাত্র) উপস্থিতি ছিল ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে।
* নিজের শেষ চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচেই গোল উৎসবে মাতেন ইব্রাহিমোভিচ। ম্যানসিটির বিপক্ষে জালে বল পাঠাতে পারলে সংখ্যাটা ৫-এ ঠেকবে। ম্যানসিটির সামনে কিন্তু হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সুইডিশ স্ট্রাইকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৬
এমআরএম